বক্ষব্যাধি হাসপাতালের প্রশাসনিক কর্মকর্তা ও তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে দুদকের মামলা

স্বাস্থ্যখাতে ‘সিন্ডিকেট’ করে অঢেল সম্পত্তির মালিক হওয়ার অভিযোগে নোটিশ দিয়েও সম্পদের হিসাব না পাওয়ায় জাতীয় বক্ষব্যাধি ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালের এক প্রশাসনিক কর্মকর্তা ও তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন-দুদক।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 1 Oct 2020, 02:35 PM
Updated : 1 Oct 2020, 02:35 PM

বৃহস্পতিবার কমিশনের সমন্বিত জেলা কার্যালয় ঢাকা-১ এ মহাখালীর এই হাসপাতালটির প্রশাসনিক কর্মকর্তা মুন্সী সাজ্জাদ হোসেনের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে বলে দুদকের পরিচালক (জনসংযোগ) প্রনব কুমার ভট্টাচার্য্য জানিয়েছেন।

তিনি বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান, নোটিশ পাঠনোর পরও সম্পদ বিবরণী দালিখ না করার অভিযোগে সাজ্জাদের বিরুদ্ধে মামলায় দুদক আইন-২০০৪ এর ২৬ (২) ধারায় অভিযোগ আনা হয়েছে।

একই ধরনে র অভিযোগে সাজ্জাদ হোসেনের স্ত্রী ফারজানা হোসাইনের বিরুদ্ধে দুদকের উপ-সহকারী পরিচালক মো. ফেরদৌস রহমান পৃথক মামলা করেছেন বলে জানান প্রনব কুমার।

সাজ্জাদ হোসেনের বিরুদ্ধে মামলায় অভিযোগ করা হয়, গত বছরের ১২ নভেম্বর সাজ্জাদকে তার নিজের ও তার উপর নির্ভরশীল ব্যক্তিবর্গের স্বনামে/বেনামে অর্জিত যাবতীয় স্থাবর/অস্থাবর সম্পত্তি, দায়-দেনা, আয়ের উৎস ও তা অর্জনের বিস্তারিত বিবরণী ২১ কর্মদিবসের মধ্যে দুদকের জমা দিতে নোটিশ দেওয়া হয়।

এরপর ৫ ডিসেম্বর সাজ্জাদ সম্পদ বিবরণী দাখিলের সময় বাড়নোর জন্য দুদকের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তার কাছে আবেদন জানালে আরও ১৫ কর্মদিবস বাড়ানো হয়। বর্ধিত সময়ের মধ্যেও সম্পদ বিবরণী দাখিল করেননি তিনি। এ কারণে তার বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশন আইন- ২০০৪ এর ২৬ (২) ধারায় অভিযোগ এনে মামলাটি করা হয়েছে।

অপরদিকে সাজ্জাদের স্ত্রী ফারজানা হোসাইনের বিরুদ্ধেও নির্ধারিত সময়ে তার সম্পদ বিবরণী দুদকে দাখিল না করার অভিযোগে মামলাটি করা হয়েছে বলে জানান দুদকের জনসংযোগ কর্মকর্তা প্রনব।

তিনি বলেন, “এই দম্পতির বিরুদ্ধে অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে কমিশনে অনুসন্ধান চলমান। এই অনুসন্ধানের স্বার্থেই তাদের সম্পদ বিবরণী জমা দিতে পৃথক নোটিশ পাঠানো হয়েছিল। কিন্তু তারা তা জমা দেননি। এই কারণে তাদের বিরুদ্ধে পৃথম মামলা হয়েছে।”

অনুসন্ধান শেষে তাদের বিরুদ্ধে অবৈধ সম্পদের সন্ধান পাওয়া গেলে সেই বিষয়েও মামলা করা হবে বলে জানান দুদকের এই কর্মকর্তা।