স্বাস্থ্যঝুঁকির মধ্যে অনেক স্কুল-কলেজে শিক্ষকদের উপস্থিত হওয়ার জন্য প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে নির্দেশনা দেওয়াল খবরের পরিপ্রেক্ষিতে তার এই বক্তব্য এসেছে।
সচিব আকরাম বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে নিজ দপ্তরে সাংবাদিকদের বলেন, “আমরা এ ধরনের কোনো নির্দেশনা জারি করিনি।
“আমরা নির্দেশনা জারি করেছি স্কুল রি-ওপিনিং প্ল্যান। যখন স্কুল পুনরায় খোলা হবে তখন কোন কোন বিষয়গুলোকে বিবেচনায় নিয়ে স্কুল খুলবে, সেটার একটা গাইডলাইন তৈরি করেছি।”
সেই নীতিমালার আলোকে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো নিজেরা কীভাবে বিদ্যালয় খুলবে তার পরিকল্পনা সাজাতে বলা হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, “সেজন্য বলেছি স্কুল খোলার ১৫ দিন আগে কাজগুলো করতে হবে। এর বাইরে স্কুলে আসতে হবে, এমন কোনো সিদ্ধান্ত আমরা দিইনি।”
দেশে করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব ঘটার পর সাধারণ ছুটি ঘোষণা করা হয়েছিল। তবে জুন থেকে অফিস খুলতে শুরু করে। অগাস্ট থেকে পুরোদমে অফিস-আদালত চলছে।
সচিব বলেন, “আমরা কিন্তু সরকারি কর্মচারী। আমাদের সকল অফিস খুলে দিয়েছে। স্কুলেও কিছু কাজ থাকে, একাডেমিক কাজ থাকে। শিক্ষকরা আসতেই পারেন, অফিসাররা আসতেই পারেন।”
এই অবস্থায় প্রাথমিকের শিক্ষাবর্ষ বাড়ছে কি না- সেই প্রশ্নে সচিব বলেন, তেমন কোনো পরিকল্পনা নেই।
“পহেলা জানুয়ারি যে বই উৎসব করে থাকি সেই বই ছাপানোর ব্যাপারে আমাদের পুরোদমে কাজ চলছে। আমাদের কোভিড পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে আমরা পরবর্তী বছরে বই বিতরণ করব, নতুন সেশন শুরু হবে। সে কারণে আমরা মনে করছি যে সেশন বাড়ানোর পরিকল্পনা এখন পর্যন্ত নাই।”
মূল্যায়ন এবং বার্ষিক পরীক্ষার সম্ভাবনা কমে আসছে কি না- এ প্রশ্নে তিনি বলেন, “আমরা ১৬ মার্চ পর্যন্ত ৩০-৩৫ শতাংশ পাঠ পরিকল্পনা শেষ করতে পেরেছি। রেডিও, টেলিভিশন, সামাজিক মিডিয়া ব্যবহার করে পাঠদান কার্যক্রম চালাচ্ছি। আমাদের মেইন টার্গেট হল, প্রত্যেক শিক্ষার্থীর মিনিমাম একটা লার্নিং কমপিটিন্সি লাগে, এটা যাতে প্রতিটি শিশু অর্জন করতে পারে। সে ব্যাপারে আমরা কাজ করছি। পরীক্ষা বা মূল্যায়ন না।
“স্কুলের শিক্ষকই বলতে পারবে বাচ্চারা সঠিকভাবে লার্নিং কমপিটিন্সি অর্জন করতে পেরেছে কিনা, সেট নিয়ে আমরা কাজ করছি। প্রধান শিক্ষক এবং সহকারী শিক্ষকরা একটা টুলস তৈরি করে পরবর্তী ক্লাসে তুলে দেওয়ার জন্য।”
অটোপাস দেওয়া হবে কি না- সে প্রশ্নে সচিব বলেন, “আমাদের ধীরে ধীরে স্পেস কমে যাচ্ছে। সেটা হতেই পারে, পরিস্থিতির উপর নির্ভর করছে। আমরা নভেম্বর পর্যন্ত অপেক্ষা করি।
“১ নভেম্বর থেকে ১৯ ডিসেম্বর পর্যন্ত আমাদের একটা পাঠ পরিকল্পনা আছে। যদি স্কুল খুলতে পারি তাহলে সে অনুযায়ী চলবে। যদি স্কুল না খুলে, শেষ অপশন যদি ব্যবহার করতে না পারি তাহলে বুঝতেই পারছেন কী (অটোপাস) হবে...।”