সংগঠনটির নেতারা বুধবার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে গেলে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর পক্ষে মন্ত্রণালয়ের প্রশাসনিক কর্মকর্তা মোল্লা ইব্রাহিম হোসেন তাদের স্মারকলিপি গ্রহণ করেন।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী ধর্ষণ মামলার আসামিদের ২৪ ঘণ্টার মধ্যে গ্রেপ্তারের পাশাপাশি নুরদের সংগঠন বাংলাদেশ বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদকে নিষিদ্ধ ঘোষণা এবং সাম্প্রতিক সময়ে বিভিন্ন ধর্ষণ ও যৌন নিপীড়নের ঘটনায় জড়িতদেরকে দ্রুত বিচার করে সর্বোচ্চ শাস্তি দেওয়ার দাবি জানানো হয়েছে স্মারকলিপিতে।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে যাওয়ার আগে এসব দাবিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি সংলগ্ন রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে বিক্ষোভ সমাবেশ করে মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চ।
মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি আমিনুল ইসলাম বুলবুল বলেন, "ধর্ষণ মামলার আসামি নুরুল হক নূর গংদেরকে এখন পর্যন্ত গ্রেপ্তার না করায় ছাত্রসমাজসহ দেশের সকল শ্রেণির মানুষের মধ্যে ক্ষোভ সঞ্চারিত হয়েছে। বিচারের বাণী নীরবে নিভৃতে কাঁদতে পারে না।"
সাধারণ সম্পাদক মো. আল মামুন বলেন, “আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে নুরুল হক নূর গংদের গ্রেপ্তার না করলে মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চ সমগ্র দেশে দুর্বার আন্দোলন গড়ে তুলবে।”
সমাবেশে অন্যদের মধ্যে মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চ কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সভাপতি সুলতানা ইসলাম বালা, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক শুভ্র মাহমুদ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চের সভাপতি সনেট মাহমুদ ও সাধারণ সম্পাদক ইয়াসির আরাফাত তূর্য বক্তব্য দেন।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের এক ছাত্রী গত ২১ ও ২৩ সেপ্টেম্বর রাজধানীর লালবাগ ও কোতোয়ালি থানায় ধর্ষণ, অপহরণ ও সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে চরিত্রহননের অভিযোগে দুটি মামলা করেন।
এর মধ্যে লালবাগের মামলায় পরিষদের আহ্বায়ক হাসান আল মামুনকে এবং কোতোয়ালির মামলায় পরিষদের যুগ্ম আহ্বায়ক নাজমুল হাসান সোহাগকে প্রধান আসামি করা হয়েছে। পরিষদের যুগ্ম আহ্বায়ক নুর দুই মামলাতেই তিন নম্বর আসামি।
ঢাকার উপ নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ার আগ্রহ দেখানো নুর অভিযোগ অস্বীকার করে বলেছেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রলীগের ‘একজন শীর্ষ নেতার পৃষ্ঠপোষকতায়’ ওই ‘মিথ্যা মামলা’ করা হয়েছে।