তিনি বলেছেন, “প্রধানমন্ত্রী নেতৃত্বে বাংলাদেশ আজ বিশ্বের সামনে উন্নয়নের এক বিস্ময়কর রোল মডেল। নেত্রী যে অদম্য সাহস, দৃঢ় প্রত্যয়, বাংলার মানুষের প্রতি যে ভালোবাসা সেটা নিয়েই তিনি তার অভীষ্ট লক্ষ্যে পৌঁছে যাবেন।
“বাংলাদেশের মানুষ তার সাথে আছে। আসুন সবাই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করি। সোনার বাংলা গড়তে সকলে একযোগে কাজ করে যাই।”
সোমবার জাতীয় জাদুঘরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে এক অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে স্পিকার একথা বলেন।
‘হাসুমনির পাঠশালা’ আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী বিভিন্ন সময়ের প্রতিকৃতি, বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য ও তার পরিবারের সদস্যদের চিত্রকর্ম প্রদর্শনীরও আয়োজন করা হয়।
১৯৪৭ সালের ২৮ সেপ্টেম্বর গোপালগঞ্জের টুঙ্গীপাড়ায় জন্মগ্রহণ করেন শেখ হাসিনা। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিবের জ্যেষ্ঠ সন্তান তিনি।
নানা ঘাত-প্রতিঘাত পেরিয়ে গত এক দশক ধরে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছেন শেখ হাসিনা।
স্পিকার বলেন, “মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর দীর্ঘ কর্মময় রাজনৈতিক জীবন। এই জীবনের এক বড় অংশই তিনি যে সংগ্রাম করেছেন…বাংলাদেশের মানুষের ভোট ও ভাতের অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য। এদেশের গণতন্ত্রকে পুনঃপ্রতিষ্ঠান করার জন্য।
“বাংলাদেশের মানুষকে একটি উন্নত-সমৃদ্ধ জীবন দেওয়ার লক্ষ্যে জাতির পিতার যে স্বপ্ন সেটিই কিন্তু প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্বপ্ন। বঙ্গবন্ধু এবং প্রধানমন্ত্রীর স্বপ্ন একই। কোনো ব্যতিক্রম সেখানে নেই। সেই স্বপ্নটি হচ্ছে সোনার বাংলা প্রতিষ্ঠার। এদেশের মানুষের অর্থনৈতিক মুক্তি নিশ্চিত করা।”
“বহুগুণের যে বিরল সমন্বয়, সেটা কেবল শেখ হাসিনার ব্যক্তিত্ব বিশ্লেষণেই আমরা খুঁজে পাই। বাংলার দুঃখী মানুষের মুখে হাসি ফোটানোর যে দর্শন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু ধারণ করতেন এবং সারাজীবন যার জন্য তিনি সংগ্রাম করেছেন। সেই দরিদ্র মানুষগুলোকে দারিদ্রের প্রভাব থেকে বের করে আনাই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার লক্ষ্য। সেই লক্ষ্য নিয়েই তিনি কাজ করছেন।“
নলিনীকান্ত ভট্টশালী গ্যালারিতে এই অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন সাবেক ছাত্রলীগ নেত্রী মারুফা আক্তার পপি। প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক মশিউর রহমান। এছাড়া অন্যদের মধ্যে সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ, আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল-আলম হানিফ, আওয়ামী লীগের সংস্কৃতি বিষয়ক সম্পাদক অসীম উকিল, সংসদের হুইপ আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন, শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী বক্তব্য রাখেন।