বেসরকারি মেডিকেল-ডেন্টালে থাকতে হবে ৭৫% স্থায়ী শিক্ষক

বেসরকারি মেডিকেল ও ডেন্টাল কলেজগুলোতে ৭৫ শতাংশ স্থায়ী শিক্ষক রাখার বাধ্যবাধকতা রেখে এসব প্রতিষ্ঠান পরিচালনায় নতুন আইন করতে যাচ্ছে সরকার।

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 28 Sept 2020, 09:53 AM
Updated : 28 Sept 2020, 09:53 AM

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে সোমবার ভার্চুয়াল মন্ত্রিসভা বৈঠকে ‘বেসরকারি মেডিকেল ও ডেন্টাল কলেজ আইন, ২০২০’ এর খসড়ার নীতিগত অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।

বাংলাদেশে বর্তমানে ৭০টি বেসরকারি মেডিকেল কলেজ এবং ২৬টি ডেন্টাল কলেজ আছে। আর সরকারি মেডিকেল কলেজ রয়েছে ৩৬টি এবং ডেন্টাল কলেজ একটি।

মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম সচিবালয়ে এক ব্রিফিংয়ে বলেন, “বেসরকারি মেডিকেল ও ডেন্টাল কলেজগুলো এতদিন দুটি নীতিমালার অধীনে চলত। নীতিমালা দিয়ে সব কিছু সুষ্ঠুভাবে পরিচালনা করা যাচ্ছিল না, এ জন্য নতুন আইন করা হচ্ছে।

“বেসরকারি মেডিকেল ও ডেন্টাল কলেজের প্রত্যেক বিভাগে শিক্ষক ও শিক্ষার্থীর অনুপাত হবে ১:১০। এসব প্রতিষ্ঠানে কমপক্ষে ৫০ জন শিক্ষার্থী থাকতে হবে। ২৫ শতাংশের বেশি খণ্ডকালীন শিক্ষক রাখা যাবে না, ৭৫ শতাংশ স্থায়ী শিক্ষক থাকতে হবে।”

মন্ত্রিপরিষদ সচিব জানান, রিজার্ভ ফান্ডে বেসরকারি মেডিকেল কলেজগুলোকে তিন কোটি টাকা এবং ডেন্টাল কলেজগুলোকে দুই কোটি টাকা রাখতে হবে।

মেট্রোপলিটন এলাকায় বেসরকারি মেডিকেল কলেজ করতে কমপক্ষে দুই একর জমি এবং অন্য জায়গায় স্থাপন করলে চার একর জমি থাকতে হবে বলে জানান তিনি।

আনোয়ারুল বলেন, বেসরকারি মেডিকেল কলেজে যতগুলো শষ্যা থাকবে তার ১০ শতাংশ দরিদ্রদের বিনামূল্যে চিকিৎসার জন্য বরাদ্দ রাখতে হবে। মেডিকেল কলেজে কমপক্ষে ২৫০টি এবং ডেন্টালে কমপক্ষে ৫০টি শয্যা থাকতে হবে।

“আইন অমান্য করলে দুই বছর কারাদণ্ড, ১০ টাকা পর্যন্ত জরিমানা বা উভয় দণ্ড দেওয়া যাবে। এছাড়া অনুমোদন বাতিল করাও হতে পারে।”

নতুন আইন পাস হলে মেডিকেল কলেজগুলোকে মেডিকেল বর্জ্য ব্যবস্থাপনা পদ্ধতি রাখতে হবে বলেও জানান মন্ত্রিপরিষদ সচিব।

তিনি বলেন, যে বিভাগে যে মেডিকেল ও ডেন্টাল কলেজ থাকবে, সেই বিভাগের মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে সেগুলো পরিচালিত হবে। ঢাকা বিভাগের সব বেসরকারি মেডিকেল ও ডেন্টাল কলেজ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে থাকবে।

নতুন আইন কার্যকর হওয়ার পর বর্তমানে যেসব মেডিকেল ও ডেন্টাল কলেজ রয়েছে সেগুলোকে শর্ত পূরণ করতে সময় দেওয়া হবে জানিয়ে আনোয়ারুল বলেন, খসড়া আইনে প্রয়োজনীয় বিধিমালা প্রণয়নেরও ক্ষমতা দেওয়া আছে।