ঢাকা-৫ উপ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় ৫ প্রার্থী

হাবিবুর রহমান মোল্লার মৃত্যুতে শূন্য হওয়া ঢাকা-৫ আসনের উপ-নির্বাচনে আওয়ামী লীগ, বিএনপি, জাতীয় পার্টির প্রার্থীসহ ৫ জন রয়েছেন প্রতিদ্বন্দ্বিতায়।

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 27 Sept 2020, 05:33 PM
Updated : 27 Sept 2020, 05:33 PM

রোববার প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ দিনে গণফ্রন্টের প্রার্থী তার মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করে নেওয়ায় শেষ পর্যন্ত পাঁচজন ভোটের লড়াইয়ে থাকছেন বলে এ নির্বাচনের রিটার্নিং অফিসার ও ঢাকার আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা জিএম সাহাতাব উদ্দিন জানান।

এই পাঁচ প্রার্থী হলেন- আওয়ামী লীগের কাজী মনিরুল ইসলাম, বিএনপির সালাহ উদ্দিন আহমেদ, জাতীয় পার্টির মীর আব্দুস সবুর, ন্যাশনাল পিপলস পার্টির আরিফুর রহমান এবং বাংলাদেশ কংগ্রেসের আনছার রহমান শিকদার।

সোমবার প্রতীক বরাদ্দ হলে প্রার্থীরা আনুষ্ঠানিক প্রচার শুরু করতে পারবেন। ১৭ অক্টোবর সকাল ৯টা থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত এ উপ নির্বাচনে ভোট হবে ইভিএমে।

ইসি কর্মকর্তারা জানান, এ নির্বাচনে সাতজন প্রার্থী মনোনয়নপত্র দাখিল করেছিলেন। বাছাইয়ে দুইজনের মনোনয়নপত্র বাতিল হয়। পরে আপিলে একজন মনোনয়ন ফিরে পান। আর একজন মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করেছেন।

গত ৬ মে হাবিবুর রহমান মোল্লার মৃত্যুতে ঢাকা-৫ আসন এবং ২৮ জুলাই ইসরাফিল আলমের মৃত্যুতে নওগাঁ-৬ আসন শূন্য ঘোষণা করা হয়। ইসি ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী, ১৭ অক্টোবর দুই আসনেই ইভিএমে ভোটগ্রহণ হবে।

স্বাস্থ্যবিধি মেনে দুই আসনে ভোট নেওয়া হবে। ভোটের প্রচারেও সবাইকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে।

নির্ধারিত স্থানে পোস্টার

ঢাকা-৫ উপ নির্বাচনের রিটার্নিং অফিসার বলেন, মহামারীর মধ্যে এ নির্বাচনে ভোটারদের দ্বারে দ্বারে যাওয়ার পাশাপাশি ‘ভিন্ন আঙ্গিকে’ প্রচার চালাবেন প্রার্থীরা।

নির্বাচন কমিশনের নির্ধারণ করা স্থানেই পোস্টার সাঁটাতেন পারবেন তারা। লেমিনেটেড পোস্টার ব্যবহার করা যাবে না। পথসভা, জনসভা হবে নির্ধারিত স্থানে এবং মাইকিং করতে হবে শব্দ দূষণ ছাড়াই।

‘সমঝোতার ভিত্তিতে’ প্রার্থীদের জন্য প্রচারের এ নিয়ম ঠিক করা হয়েছে বলে জানান জিএম সাহাতাব উদ্দিন।

করোনাভাইরাস মহামারীর মধ্যে ঢাকা-১০ আসনের উপ নির্বাচনেও প্রচারের এসব নিয়ম বেঁধে দিয়েছিল ইসি। গত ২১ মার্চ ওই উপ নির্বাচনে ইভিএমে মাত্র ৫ শতাংশ ভোট পড়ে।