সাহেদের বিরুদ্ধে অস্ত্র মামলার রায় সোমবার

রিজেন্ট হাসপাতাল লিমিটেডের চেয়ারম্যান সাহেদ করিম ওরফে মোহাম্মদ সাহেদ অস্ত্র আইনের মামলায় দোষী কি না সোমবার তা জানা যাবে।

আদালত প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 27 Sept 2020, 04:06 PM
Updated : 27 Sept 2020, 05:28 PM

সোমবার দুপুর ২টায় ঢাকা মহানগর ১ নম্বর বিশেষ ট্রাইব্যুনালের জজ কে এম ইমরুল কায়েশের আদালতে এই মামলার রায় ঘোষণার কথা রয়েছে।

মামলায় অভিযোগ প্রমাণিত হলে সর্বনিম্ন ১০ বছর থেকে সর্বোচ্চ শাস্তি যাবজ্জীবন কারাদণ্ড হতে পারে সাহেদের।

রাষ্ট্রপক্ষ দাবি করছে, সাহেদের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণ করতে পেরেছেন তারা। তাই রায়ে সাহেদের সর্বোচ্চ শাস্তি যাবজ্জীবন কারাদণ্ড হবে। অন্যদিকে আসামিপক্ষ বলছে, অভিযোগ প্রমাণ হয়নি, সেজন্য সাহেদ খালাস পাবেন।

সাহেদের বিরুদ্ধে মোট ৩২টি মামলার খবর জানা আছে তার আইনজীবী মো. মনিরুজ্জোমানের।

তিনি বলেন, “অস্ত্র মামলার অভিযোগপত্রে তার বিরুদ্ধে ২০টি মামলার তথ্য দেওয়া আছে। কিন্ত এর বাইরেও ১০টি মামলার সন্ধান পেয়েছি আমরা। সাহেদের বিরুদ্ধে মামলার বেশিরভাগই প্রতারণার অভিযোগে করা।“

তবে রাষ্ট্রপক্ষের প্রধান আইনজীবী আবদুল্লাহ আবু সাহেদের বিরুদ্ধে কয়টি মামলা রয়েছে তা আদালতপাড়ার সাংবাদিকদের জানাতে পারেননি।

গত ৬ জুলাই রিজেন্ট হাসপাতালের উত্তরা ও মিরপুর শাখায় অভিযান চালায় র‌্যাব। অভিযানে নতুন করোনাভাইরাস পরীক্ষার ভুয়া রিপোর্ট, এর চিকিৎসার নামে রোগীদের কাছ থেকে অর্থ আদায়সহ নানা অনিয়ম উঠে আসে। এ ঘটনার পর পালিয়ে যান সাহেদ। ১৫ জুলাই সাহেদকে সাতক্ষীরার সীমান্তবর্তী এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করে র‌্যাব। পরে তাকে হেলিকপ্টারে করে সাতক্ষীরা থেকে ঢাকায় আনা হয়।

করোনাভাইরাস পরীক্ষার নামে ভুয়া প্রতিবেদনসহ বিভিন্ন প্রতারণার অভিযোগে দায়ের করা মামলায় ১৬ জুলাই সাহেদকে ১০ দিনের রিমান্ডে নেওয়া হয়। ১৯ জুলাই তাকে নিয়ে উত্তরার বাসার সামনে অভিযান চালায় ডিবি পুলিশ। সেখানে সাহেদের নিজস্ব সাদা প্রাইভেটকারে পাঁচ বোতল বিদেশি মদ, ১০ বোতল ফেনসিডিল, একটি পিস্তল ও একটি গুলি উদ্ধার করা হয়। এরপর উত্তরা পশ্চিম থানায় অস্ত্র ও মাদক নিয়ন্ত্রণ আইনে দুটি মামলা করা হয়।

গত ৩০ জুলাই ঢাকা মহানগর হাকিম আদালতে সাহেদের বিরুদ্ধে অস্ত্র আইনের মামলায় চার্জশিট দাখিল করা হয়। এরপর ২৭ অগাস্ট তার বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন বিচারক।

২০ সেপ্টেম্বর রাষ্ট্র ও আসামিপক্ষের যুক্তি উপস্থাপন শেষে রায় ঘোষণার জন্য ২৮ সেপ্টেম্বর দিন ধার্য করেন বিচারক।

সাহেদের বিরুদ্ধে মামলাটি হয়েছে ১৮৭৮ সালের অস্ত্র আইনের ১৯ (এ) ধারায়। এই ধারায় তার বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করা হয়।

আইনের ১৯ (এ) ধারায় বলা হয়েছে, বিনা লাইসেন্সে আগ্নেয়াস্ত্র রেখে কেউ যদি কোনো অপরাধ সংঘটন করে, অপরাধ যদি পিস্তল, রিভলবার, রাইফেল, শর্টগান বা অন্য আগ্নেয়াস্ত্র সম্পর্কিত হয় তাহলে তার যাবজ্জীবন কারাদণ্ড বা অন্য কোনো কঠোর কারাদণ্ড হবে, যার মেয়াদ ১০ বছরের কম হবে না।