বাংলাদেশে ভারতের হাই কমিশনার রীভা গাঙ্গুলী দাশ রোববার সন্ধ্যায় বঙ্গভবনে বিদায়ী সাক্ষাৎ করতে গেলে আবদুল হামিদ এ কথা বলেন।
পরে রাষ্ট্রপতির প্রেস সচিব মো. জয়নাল আবেদীন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “সাক্ষাতের সময় রাষ্ট্রপতি বলেন, বাংলাদেশ-ভারতের মধ্যে সড়ক, রেল, নৌ ও আকাশপথে যোগাযোগ বৃদ্ধির ফলে দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বৃদ্ধি পেয়েছে। করোনা পরিস্থিতির মধ্যেও কলকাতা থেকে নৌপথে পরীক্ষামূলকভাবে পণ্য পরিবহনের যে উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে, তা অত্যন্ত প্রশংসনীয়।
“তিনি আশা প্রকাশ করেন, ভবিষ্যতে দুই দেশ বহুমাত্রিক যোগাযোগ সম্প্রসারিত করবে এবং সহযোগিতার প্রতিটি ক্ষেত্রকে কাজে লাগাতে উদ্যোগী হবে।”
‘সফলভাবে’ দায়িত্ব পালনের জন্য ভারতের বিদায়ী হাই কমিশনারকে রাষ্ট্রপতি ধন্যবাদ জানান।
২০১৯ সালের মার্চ থেকে ঢাকায় ভারতের হাই কমিশনারের দায়িত্ব পালন করে আসা রীভা গাঙ্গুলী অক্টোবরের শুরুতে দেশে ফিরে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সচিব (পূর্ব) হিসেবে দায়িত্ব নেবেন।
তার জায়গায় ভারতের নতুন হাই কমিশনার হয়ে ৫ অক্টোবর ঢাকায় আসছেন বিক্রম দোরাইস্বামী, যিনি এর আগে দক্ষিণ কোরিয়া ও উজবেকিস্তানে ভারতের রাষ্ট্রদূতের দায়িত্ব সামলেছেন।
বিদায়ী হাই কমিশনারের সঙ্গে বৈঠকে রাষ্ট্রপতি বলেন, ভারত-বাংলাদেশ নিকটতম প্রতিবেশী এবং বিশ্বস্ত বন্ধু। ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের সময় থেকে যার যাত্রা শুরু, বর্তমানে তা অনন্য উচ্চতায় পৌঁছেছে।
করোনাভাইরাস মহামারীকালে বিভিন্ন স্বাস্থ্য ও মানবিক সহযোগিতার জন্য ভারতের সরকার ও জনগণকে রাষ্ট্রপতি ধন্যবাদ জানান।
রীভা গাঙ্গুলী দাশ বলেন, “ভারত বাংলাদেশের সাথে সম্পর্ককে সব সময় গুরুত্ব দেয়। করোনাকালে বাংলাদেশের সাথে নৌ ও রেলপথে পণ্য পরিবহনে নতুন দিগন্তের সূচনা হয়েছে যা বাণিজ্য-বিনিয়োগ সম্প্রসারণে ইতিবাচক ভূমিকা রাখবে।”
রাষ্ট্রপতির কার্যালয়ের সচিব সম্পদ বড়ুয়া, রাষ্ট্রপতির প্রেস সচিব জয়নাল আবেদীন, সচিব (সংযুক্ত) ওয়াহিদুল ইসলাম খান এ সময় উপস্থিত ছিলেন।