নীলা রায় হত্যা: মিজানুরের মা-বাবা রিমান্ডে

সাভারে স্কুল ছাত্রী নীলা রায় হত্যার প্রধান আসামি মিজানুর রহমান চৌধুরীর বাবা আব্দুর রহমান ও মা নাজমুন্নাহার সিদ্দিকাকে দুই দিনের রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের অনুমতি পেয়েছে সাভার থানার পুলিশ।

আদালত প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 25 Sept 2020, 01:30 PM
Updated : 25 Sept 2020, 01:30 PM

ঢাকার মুখ্য বিচারিক হাকিম আদালতের হাকিম ফাইরুজ সালেকীন শুক্রবার শুনানি করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

প্রেমের প্রস্তাবে রাজি না হওয়া গত ২০ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যায় সাভার পৌর এলাকার পালপাড়া এলাকায় নীলাকে ছুরি মেরে হত্যা করে বখাটে মিজানুর ।

মানিকগঞ্জ জেলার বালিরটেক এলাকার নারায়ণ রায়ের মেয়ে নীলা সাভার পৌর এলাকার ব্যাংক কলোনির অ্যাসেড স্কুলের দশম শ্রেণিতে পড়ত। পৌর এলাকার কাজী মোকমা পাড়ার এক বাড়িতে তার পরিবার ভাড়া থাকে।

নীলা খুন হওয়ার পর তার বাবা মিজানু ও তার বাবা-মাকে আসামি করে সাভার মডেল থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। ঘটনার পর থেকেই তারা পলাতক ছিলেন।

বৃহস্পতিবার মানিকগঞ্জ জেলার চারীগ্রাম এলাকা থেকে আব্দুর রহমান (৬০) ও মা নাজমুন্নাহার সিদ্দিকাকে (৫০) গ্রেপ্তার করে র‌্যাব। পরে তাদের সাভার মডেল থানায় হস্তান্তর করা হয়।

শুক্রবার তাদের ঢাকার আদালতে হাজির করে সাত দিনের রিমান্ডের আবেদন করেন মামলার তদন্ত কমকর্তা এস আই নিমর্ল কুমার দাস।

রাষ্ট্রপক্ষে রিমান্ড আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন সহকারী পাবলিক প্রসিকিউটর হেমায়েত উদ্দিন খান হিরণ।

রিমান্ড আবেদনে বলা হয়, ঘটনার দিন নীলা ও তার ভাই অলক রিকশায় করে ফার্মেসিতে যাচ্ছিল ওষুধ আনতে। গার্লাস স্কুলের পাশে রাস্তায় অলককে দূরে সরিয়ে চাপাতি, ছুরি দিয়ে আঘাত করে নীলাকে মারাত্মক জখম করে মিজানুর। পরে স্থানীয়রা এনাম মেডিকেলে নিয়ে গেলে নীলা মারা যায়।

শুনানিতে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী বলেন, নীলাকে বিভিন্ন সময়ে ‘উত্ত্যক্ত করত’ মিজানুর। নীলার পরিবার মিজানুরের বাবা-মায়ের কাছে অভিযোগ জানালে তারা ছেলেকে বাধা না দিয়ে ‘উল্টো এলাকা ছেড়ে চলে যাওয়ার জন্য নীলার বাবা-মাকে হুমকি’ দিত।

“মিজানুর তার বাবা-মায়ের ইন্ধনে ও প্ররোচনায় নীলাকে হত্যা করে। ঘটনার বিষয়ে বিস্তারিত জানতে তাদের রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা জরুরি।      

অন্যদিকে রিমান্ডের বিরোধিতা করে দুই আসামির পক্ষে শুনানি করেন আওয়ামী আইনজীবী পরিষদ নেতা ও ঢাকা বারের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান মামুন ও মাসুদ আহমেদ।

শুনানি শেষে বিচারক দুই দিনের হেফাজতে নিয়ে মিজানুরের বাবা-মাকে জিজ্ঞাসাবাদের অনুমতি দেন।