আগামী ২৬ সেপ্টেম্বর একটি ফ্লাইট জেদ্দার উদ্দেশে এবং ২৭ সেপ্টেম্বর আরেকটি ফ্লাইট রিয়াদের উদ্দেশে ছেড়ে যাবে বলে বিমানের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোকাব্বির হোসেন বুধবার বিডিনউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানিয়েছেন।
এদুটি ফ্লাইটে কেবল তারাই যেতে পারবেন, যাদের সৌদি আরবে ফেরার টিকেট (রিটার্ন টিকিট) কেটে রাখা ছিল।
মোকাব্বির খান বলেন, ১৬ ও ১৭ মার্চ জেদ্দা ও রিয়াদের বিমানের রিটার্ন টিকেটধারীদের জন্য বিশেষ ফ্লাইট দুটি চালানো হবে।
এই ফ্লাইটে বুকিংয়ের জন্য বিমানের সেলস অফিসে আগামী ২৪ সেপ্টেম্বর যোগাযোগ করার অনুরোধ জানান তিনি।
আটকে পড়া বাকিদের বিষয়ে বিমান এমডি বলেন, “ফ্লাইট অনুমোদন সাপেক্ষে পর্যায়ক্রমে অন্য যাত্রীদেরও বুকিংয়ের জন্য অবহিত করা হবে। অন্য যাত্রীদের এখন অযথা কাউন্টারে ভিড় না করতে অনুরোধ করা যাচ্ছে।”
এই যাত্রীদের কোভিড-১৯ নেগেটিভ সনদ সঙ্গে রাখতে হবে।
মোকাব্বির বলেন, “কোভিড নেগেটিভ সার্টিফিকেট বাধ্যতামূলক এবং নমুনা সংগ্রহের ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে সৌদি আরব পৌছতে হবে বলে সব যাত্রীকে ঢাকা থেকে কোভিড পরীক্ষা করতে হবে এবং ঢাকা থেকেই যাত্রা করতে হবে।”
করোনাভাইরাস মহামারীর মধ্যে সৌদি আরবের অনুমতি না মেলায় এখনও সেদেশে নিয়মিত বাণিজ্যিক ফ্লাইট পুনরায় চালু করতে পারেনি বিমান। তবে বিশেষ ফ্লাইট চালাতে পারবে সংস্থাটি।
ফলে সৌদিতে কর্মরত অনেক বাংলাদেশি বিমানের টিকেট কেটে রেখেও যেতে পারছেন না। অন্যদিকে ফ্লাইট কম থাকায় সৌদি অ্যারাবিয়ান এয়ারলাইন্সও এত যাত্রীর চাপ নিতে পারছে না।
এই পরিস্থিতিতে সৌদি প্রবাসী কর্মীরা বিক্ষোভে নেমেছেন। তারা বিমান ও সৌদি এরাবিয়ান এয়ারলাইন্স অফিসের সামনে দুদিন বিক্ষোভের পর বুধবার প্রবাসী কল্যাণ ভবনের সামনেও বিক্ষোভ করেছেন।
তারা বলছেন, এ মাসের মধ্যে সৌদি আরব যেতে না পারলে অনেকেই চাকরি হারাবেন। সে কারণে তাদের দ্রুত ফেরার ব্যবস্থা করা জরুরি। ভিসার মেয়াদ বাড়ানোর ব্যবস্থা করার পাশাপাশি সেখানে যাওয়ার টিকেটও লাগবে তাদের।