অরিত্রীর বাড়ির নৈশ প্রহরীর সাক্ষ্য

ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের শিক্ষাথী অরিত্রী অধিকারীকে আত্মহত্যায় প্ররোচনার মামলায় সাক্ষ্য দিয়েছেন তাদের বাড়ির নৈশ প্রহরী সুখদেব।

আদালত প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 23 Sept 2020, 12:36 PM
Updated : 23 Sept 2020, 12:36 PM

বুধবার ঢাকার তৃতীয় অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ রবিউল আলমের আদালতে সাক্ষ্য দেন সুখদেব। পরে তাকে জেরা করেন আসামিপক্ষের আইনজীবীরা।

এছাড়া অরিত্রীর মা বিউটি অধিকারীকে জেরার আবেদন করেছে আসামিপক্ষ।

সেই আবেদন মঞ্জুর করে আগামী ৪ নভেম্বর অরিত্রীর মাকে জেরা ও পরবর্তী সাক্ষ্যগ্রহণের দিন ধার্য করেছেন বিচারক।

আদালতে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী সালাহউদ্দিন হাওলাদার এসব তথ্য জানিয়েছেন।

গত ২৩ অগাস্ট অরিত্রীর মা আদালতে সাক্ষ্য দেন। ওইদিনই ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের সাবেক ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ নাজনীন ফেরদৌস ও শাখা প্রধান জিনাত আক্তারের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি হয়।

২০১৮ সালের ৩ ডিসেম্বর শান্তিনগরের বাসায় গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করে নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী অরিত্রী (১৫)। তার আগের দিন পরীক্ষায় নকল করার অভিযোগে তাকে পরীক্ষা হল থেকে বের করে দিয়েছিল স্কুল কর্তৃপক্ষ।

স্কুল কর্তৃপক্ষের দাবি, অরিত্রী পরীক্ষায় মোবাইল ফোনে নকল নিয়ে টেবিলে রেখে লিখছিল। অন্যদিকে স্বজনদের দাবি, নকল করেনি অরিত্রী।

এরপর অরিত্রীর বাবা-মাকে ডেকে নেওয়া হয় স্কুলে। তখন অরিত্রীর সামনে তার বাবা-মাকে অপমান করা হয়েছিল বলে অভিযোগ ওঠে। ওই দিনই আত্মহত্যা করেন অরিত্রী।

অরিত্রীর আত্মহত্যার পর তার সহপাঠিদের বিক্ষোভে নামে, ৪ ডিসেম্বর তার বাবা দিলীপ অধিকারী আত্মহননে প্ররোচনার অভিযোগ এনে মামলা করেন। ওই মামলায় অরিত্রীর শিক্ষকদের পুলিশ গ্রেপ্তার করলেও পরে তারা জামিন পান।

গতবছর ২৮ মার্চ নাজনীন ও জিনাতকে আসামি করে মামলার অভিযোগপত্র জমা দেন তদন্ত কর্মকর্তা ডিবির পরিদর্শক কামরুল হাসান তালুকদার।

এরপর গতবছরের ১০ জুলাই দুই শিক্ষকের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেয় আদালত।

এ মামলায় আসামিদের বিরুদ্ধে দণ্ডবিধির ৩০৫ ধারায় অভিযোগ আনা হয়েছে। এই ধারায় মৃত্যুদণ্ড, যাবজ্জীবন কারাদণ্ড বা ১০ বছর কারাদণ্ডের বিধান রয়েছে।