বুধবার ঢাকার ৭ নম্বর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে মোসাম্মৎ কামরুন্নাহারের আদালতে সাক্ষ্য দেন তারা।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক সামিনা লুৎফা সাক্ষ্য দেন এদিন। ধর্ষিত ওই শিক্ষার্থীকে তিনিই ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেছিলেন।
ট্রাইবুনালে রাষ্ট্রপক্ষে বিশেষ পাবলিক প্রসিকিউটর আফরোজা ফারহানা আহমেদ অরেঞ্জ বিডিনিউজ টোয়েন্টফোর ডটকমকে বলেন, “শিক্ষিকা সামিনা ওই শিক্ষার্থীকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করান। আর তার দুই বান্ধবীর সঙ্গে তিনি গ্রুপ স্টাডি করার জন্য যাচ্ছিলেন। পথে তিনি বিপাকে পড়েন।”
সাক্ষ্যগ্রহণের সময় কাঠগড়ায় ছিলেন আসামি মো. মজনু। তিনি এক সাক্ষীকে নিয়ে কটূক্তি করেন বলে আইনজীবীরা জানিয়েছেন।
মামলাটির বিচার চলছে রুদ্ধদ্বার কক্ষে। এনিয়ে রাষ্ট্রপক্ষে ৫ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ হল।
গত ২০ সেপ্টেম্বর মামলার বাদীর (ছাত্রীর বাবা) সাক্ষ্যগ্রহণের মধ্য দিয়ে এই মামলায় বিচার শুরু হয়। পরদিন ধর্ষিত তরুণী ধর্ষক হিসেবে একমাত্র আসামি মো. মজনুকে শনাক্ত করেন।
এই বছরের শুরুতে ৫ জানুয়ারি সন্ধ্যায় বিশ্ববিদ্যালয়ের বাস থেকে ঢাকার কুর্মিটোলা বাস স্টপেজে নামার পর ওই ছাত্রীকে মুখ চেপে ধরে সড়কের পাশের ঝোঁপের আড়ালে নিয়ে ধর্ষণ করা হয়। এসময় অজ্ঞান হয়ে পড়েছিলেন ওই তরুণী।
জ্ঞান ফেরার পর তিনি ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে যান চিকিৎসা নিতে। পরে তার বাবা ক্যান্টনমেন্ট থানায় মামলা করেন।
ছাত্রী ধর্ষণের ঘটনায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় উত্তাল হয়ে ওঠে। বিভিন্ন সংগঠনও নানা কর্মসূচি পালন করে।
ওই তরুণীর কাছে বর্ণনা শুনে ৮ জানুয়ারি গাজীপুর থেকে গ্রেপ্তার করা হয় মজনুকে। ১৬ জানুয়ারি তিনি আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন।
নোয়াখালীর হাতিয়ায় মজনু (৩০) জীবিকার তাগিদে বছর দশেক আগে ঢাকায় আসেন। তিনি ‘সিরিয়াল রেপিস্ট’ বলে র্যাবের ভাষ্য।
দুই মাস পর গত ১৬ মার্চ মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ডিবির পরিদর্শক আবু বকর সিদ্দিক আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। তাতে শুধু মজনুকেই আসামি করা হয়। রাষ্ট্রপক্ষে সাক্ষী করা হয় ১৬ জনকে। ভুক্তভোগীর পোশাক ও মোবাইল ফোনসহ ২০টি আলামত জমা দেওয়া হয় আদালতে।
গত ২৬ আগস্ট ভার্চুয়ালি শুনানিতে মজনুর বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন হয়। তখন তিদনি নিজেকে নির্দোষ বলে দাবি করেন।