স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের গাড়িচালক মালেক বরখাস্ত

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের গাড়িচালক আব্দুল মালেককে সাময়িক বরখাস্ত করেছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 21 Sept 2020, 05:10 PM
Updated : 21 Sept 2020, 05:10 PM

সোমবার তাকে বরখাস্ত করা হয়েছে বলে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. এবিএম খুরশীদ আলম জানিয়েছেন।

তিনি বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “এটা ২০১৯ সালের ঘটনা। তার বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশনের আগেরই মামলা ছিল। এই অভিযোগের ভিত্তিতেই তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। আর সে আমাদের অধিদপ্তরে ছিল না, স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তরে ছিল। আজ তাকে বরখাস্ত করা হয়েছে।”

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক (এমআইএস) ডা. মো. হাবিবুর রহমান জানান, সোমবার প্রশাসন শাখা থেকে আব্দুল মালেকের বরখাস্তের আদেশ জারি হয়।

তিনি বলেন, “কোনো সরকারি কর্মচারী যদি পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হয় বা পুলিশের হেফাজতে যায় বা জেলে যায় তাহলে তাকে মহাপরিচালক সাময়িক বরখাস্ত করতে পারেন। আজ তাকে সাময়িক বরখাস্তের আদেশ জারি করেছে। যতক্ষণ পর্যন্ত এই মামলা নিষ্পত্তি না হবে ততক্ষণ সাময়িক বরখাস্তের আদেশ বহাল থাকবে।”

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের স্বাস্থ্য শিক্ষা বিভাগের মহাপরিচালকের গাড়িচালক মালেককে (৬৩) রোববার ভোরে ঢাকার তুরাগ থানা এলাকার কামারপাড়া বামনটেকে তার ফ্ল্যাট থেকে গ্রেপ্তার করে র‌্যাব।

এ সময় তার কাছ থেকে একটি অবৈধ বিদেশি পিস্তল, দেড় লাখ জাল টাকা, একটি ল্যাপটপ জব্দ করা হয় বলে র‌্যাব কর্মকর্তারা জানান।

মালেক অবৈধ অস্ত্র ও জাল টাকার কারবারে জড়িত- এমন তথ্য পেয়ে তার উপর নজরদারি চলছিল বলেও র‌্যাবের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে।

অষ্টম শ্রেণি পাস মালেক ১৯৮২ সালে সাভার স্বাস্থ্য প্রকল্পে গাড়িচালক হিসাবে যোগ দেন। ১৯৮৬ সালে তিনি স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে যোগ দেওয়ার পর বিভিন্ন কর্মকর্তার গাড়ি চালাতেন।

র‌্যাব কর্মকর্তারা বলছেন, তুরাগের দক্ষিণ কামারপাড়ায় ২টি সাততলা ভবন, একই এলাকায় একটি বিশাল ডেইরি ফার্ম, ধানমন্ডির হাতিরপুলে সাড়ে ৪ কাঠা জমিতে একটি নির্মাণাধীন ১০তলা ভবন ছাড়াও কলাবাগানসহ রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে অন্তত ১৫টি ফ্ল্যাট রয়েছে মালেকের। এছাড়া বিভিন্ন ব্যাংকে বিপুল পরিমাণ অর্থও জমা আছে।

মালেক দপ্তরের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের গাড়িচালক হওয়ায় ‘বদলি বাণিজ্য’ও করতেন বলে র‌্যাবের সন্দেহ।

অস্ত্র ও বিশেষ ক্ষমতা আইনের দুই মামলায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য মালেকের ১৪ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছে আদালত।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নানা দুর্নীতির চিত্র বেরিয়ে আসার মধ্যে সম্প্রতি অধিদপ্তরের অফিস সহকরী আবজাল হোসেনেরও বিপুল সম্পদের তথ্য পায় দুদক। তিনি এখন কারাগারে আছেন।