সেইন্ট কিটস-ডোমেনিকার সঙ্গে হচ্ছে কূটনৈতিক সম্পর্ক

দুই ক্যারিবীয় দ্বীপ রাষ্ট্র সেইন্ট কিটস অ্যান্ড নেভিস এবং কমনওয়েলথ অব ডোমেনিকার সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপন করতে যাচ্ছে বাংলাদেশ।

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 21 Sept 2020, 01:05 PM
Updated : 21 Sept 2020, 01:05 PM

এজন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে সোমবার ভার্চুয়াল মন্ত্রিসভা বৈঠকে দুই দেশের সঙ্গে যৌথ ঘোষণাপত্রের খসড়া অনুসমর্থনের প্রস্তাব অনুমোদন দেওয়া হয়।

মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম সচিবালয়ে এক ব্রিফিংয়ে জানান, ক্যারিবীয় দ্বীপপুঞ্জের অন্তর্গত দুটি দ্বীপ নিয়ে সেইন্ট কিটস অ্যান্ড নেভিস একটা ছোট রাষ্ট্র। ২৬১ বর্গকিলোমিটার আয়তনের এই দেশের জনসংখ্যা ৫৫ হাজার।

“দেশটিতে পর্যটন খাত থেকে প্রধান অর্থ আসে। আমাদের সঙ্গে তাদের কূটনৈতিক সম্পর্ক নেই। যার ফলে আমাদের দেশের কিছু লোক ওখানে থাকে এবং কাজকর্ম করে। তাদের জন্য একটু প্রতিবন্ধকতার সম্মুখীন হতে হয়।”

আনোয়ারুল বলেন, সেইন্ট কিটস অ্যান্ড নেভিস জাতিসংঘ, কমনওয়েলথ, আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত, ক্যারিবিয়ান কমিউনিটি, অর্গানাইজেশন অব ক্যারিবিয়ান স্টেটস-সহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থার সদস্য।

“উভয় দেশের স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিষয়ে পারস্পারিক সহযোগিতার ইস্যুতে তাদের সমর্থনও আমাদের অনেক সময় প্রয়োজন হয়। সেজন্য তাদের সাথে একটা কূটনৈতিক সম্পর্ক করার জন্য প্রস্তাবনা নিয়ে আসা হয়েছে। মন্ত্রিসভা তা অনুমোদন দিয়েছে”

সেইন্ট কিটস অ্যান্ড নেভিস-এ মিশন স্থাপন করা হবে কি না, এই প্রশ্নে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, “সেখানে হবে বা আশেপাশে একটা দেশের মিশনকে দায়িত্ব দেবে। তাৎক্ষণিকভাবে মিশন করা একটু ডিফিক্যাল্ট। অনেক দেশেই নাই।”

আনোয়ারুল বলেন, কমনওয়েলথ অব ডোমেনিকা ক্যারিবীয় দ্বীপপুঞ্জের একটি রাষ্ট্র। ৭৫০ বর্গ কিলোমিটার আয়তনের এই দেশে জনসংখ্যা ৭৫ হাজার।

“কৃষিনির্ভর এই দেশে উল্লেখযোগ্য হারে বিদেশি বিনিয়োগ হয়। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপীয় ইউনিয়নসহ বিভিন্ন উন্নত দেশের সঙ্গে একটা শুল্কমুক্ত জিএসপি পায়।”

মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটনে বাংলাদেশ মিশন দেশটিতে (ডোমেনিকা) সমবর্তী দায়িত্ব পালন করলেও কূটনৈতিক সম্পর্ক না থাকার কারণে সেখানে অবস্থিত প্রবাসী বাংলাদেশিদের সেবা প্রদানে বাংলাদেশ দূতাবাস অসুবিধার সম্মুখীন হচ্ছে।

“সেখানে ভালোই একটা সংখ্যা (বাংলাদেশি) আছে। তারা সেখানকার উৎপাদন ব্যবস্থা এবং ব্যবসা-বাণিজ্যের সাথে জড়িত রয়েছে।”

দেশটির সঙ্গে বাংলাদেশ কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপন করলে আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর সহায়তা পাওয়া যাবে বলে জানান আনোয়ারুল।

“বিভিন্ন নির্বাচন বা অনেক বিষয়ে প্রস্তাবনা আমরা উপস্থাপন করি, সেক্ষেত্রে দুইটা দেশ যদি আমাদের সমর্থন দেয়া তাহলে তা ফ্রুটফুল অ্যাডভান্টেজ হিসেবে বিবেচিত হবে।”