রোববার তাকে আদালতে হাজির করে তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন তার বিরুদ্ধে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা দুদক উপ-পরিচালক মো. তৌফিকুল ইসলাম।
সেই আবেদন মঞ্জুর করে ঢাকার মহানগর জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ কেএম ইমরুল কায়েশ আসামি আবজলকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
বিপুল পরিমাণ অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে দুর্নীতি দমন কমিশন আবজলের বিরুদ্ধে মামলা করে। সেই মামলায় গত ১৩ সেপ্টেম্বর আবজালকে হেফাজতে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করা হয়েছিল।
গত ২৩ আগস্ট সকালে আবজাল আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন চাইলে তা নাকচ করে বিচারক তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছিলেন।
গত বছরের ২৭ জুন দুদক উপ-পরিচালক মো. তৌফিকুল ইসলাম বাদী হয়ে রাজধানীর সেগুনবাগিচায় দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয় ঢাকা-১ এ অবৈধ সম্পদ অর্জন, মানি লন্ডারিং এবং দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনে মামলা দুটি করেন।
প্রথম মামলায় আবজালের স্ত্রী রুবিনা খানমের বিরুদ্ধে ২৬৩ কোটি ৭৬ লাখ ৮১ হাজার টাকা মানি লন্ডারিংসহ ২৮৫ কোটি ২৭ লাখ টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ আনা হয়।
এ কাজে স্ত্রীকে সহায়তার জন্য স্বামী আবজাল হোসেনকেও আসামি করা হয়।
আরেক মামলায় আবজালের বিরুদ্ধে ২০ কোটি ৭৪ লাখ ৩২ হাজার টাকা পাচার এবং ২ কোটি ১ লাখ ১৯ হাজার টাকার সম্পদের তথ্য গোপনসহ ৪ কোটি ৭৯ লাখ ৩৪ হাজার টাকার জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদের অভিযোগ আনা হয়।