আবরার রাহাতের মৃত্যু: মামলা যাচ্ছে জজ আদালতে

বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে ঢাকা রে‌সি‌ডে‌ন্সিয়াল মডেল স্কুল অ্যান্ড ক‌লে‌জের ছাত্র নাইমুল আবরার রাহাতের মৃত্যুর মামলা অভিযোগ গঠনের শুনানির জন্য ঢাকার মহানগর দায়রা জজ আদালতে পাঠানোর আদেশ হয়েছে।

আদালত প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 20 Sept 2020, 11:55 AM
Updated : 20 Sept 2020, 11:55 AM

ঢাকার মহানগর হাকিম মোহাম্মদ জসিম রোববার এ মামলার নথিপত্র জজ আদালতে পাঠানোর এই আদেশ দেন বলে বাদীর আইনজীবী ওমর ফারুক আসিফ জানান।

প্রথম আলো সম্পাদক মতিউর রহমান, প্রথম আলোর সহযোগী সম্পাদক ও কিশোর আলোর সম্পাদক আনিসুল হকসহ এ মামলার দশ আসামির সবাই জামিনে আছেন। রোববার তারা আদালতে হাজিরা দেন। 

আইনজীবী ওমর ফারুক বলেন, “যেহেতু মামলাটিতে ৩০৪ এর ক ধারার অভিযোগ রয়েছে, সেহেতু এর বিচার হবে দায়রা জজ আদালতে। সে কারণে নথিপত্র ওই আদালতে পাঠানোর আদেশ হয়েছে।”

দণ্ডবিধির ৩০৪ এর ক ধারার অবহেলার কারণে মৃত্যুর অভিযোগ প্রমাণিত হলে সর্বোচ্চ ৫ বছরের কারাদণ্ড বা অথর্দণ্ড বা উভয় দণ্ডেরে বিধান আছে।

মোহাম্মদপুরে ঢাকা রেসিডেনসিয়াল মডেল কলেজে ক্যাম্পাসে এক অনুষ্ঠানে গতবছর ১ নভেম্বর বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয় নবম শ্রেণির ছাত্র আবরার রাহাত। মহাখালীর ইউনিভার্সাল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পর তাকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা।

ওই অনুষ্ঠানের আয়োজক ছিল প্রথম আলোর কিশোর সাময়িকী কিশোর আলো। প্রথম আলো সম্পাদক মতিউর রহমান কিশোর আলোর প্রকাশক; আর কিশোর আলোর সম্পাদক হলেন আনিসুল হক।

আবরারের বাবা মো. মুজিবুর রহমান গত ৬ নভেম্বর প্রথম আলো সম্পাদকসহ অজ্ঞাতপরিচয় কয়েকজনের বিরুদ্ধে আদালতে এ মামলা করেন।

তদন্ত শেষে গত ১৬ জানুয়ারি প্রতিবেদন জমা দেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদপুর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আব্দুল আলিম।

সেখানে মোট দশজনকে আসামি করে বলা হয়, নাইমুল আবরারের মৃত্যুর পেছনে কিশোর আলো কর্তৃপক্ষের ‘অবহেলার প্রমাণ’ পাওয়া গেছে।

ওই প্রতিবেদন আমলে নিয়ে ঢাকার অতিরিক্ত মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতের বিচারক কায়সারুল ইসলাম সেদিনই অভিযোগপত্রভুক্ত আসামিদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন। পরে তাদের সবাই আদালত থেকে জামিন নেন।

মতিউর রহমান ও আনিসুল হক ছাড়া এ মামলার বাকি আট আসামি হলেন- কবির বকুল, শুভাশিস প্রামানিক, মহিতুল আলম পাভেল, শাহপরাণ তুষার, জসীমউদ্দীন তপু, মোশাররফ হোসেন, সুজন ও কামরুল।

আরও পড়ুন: