শনিবার সকালে ঢাকা ও নারায়ণগঞ্জের বিভিন্ন এলাকা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয় বলে সিআইডির ডিআইজি মাঈনুল হাসান জানিয়েছেন।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- তিতাস গ্যাস ফতুল্লা অঞ্চলের ব্যবস্থাপক প্রকৌশলী সিরাজুল ইসলাম (৪২), উপ-ব্যবস্থাপক প্রকৌশলী মাহমুদুর রহমান রাব্বী (৩৪), সহকারী প্রকৌশলী এসএম হাসান শাহরিয়ার (৩২), সহকারী প্রকৌশলী মানিক মিয়া (৩৩), সিনিয়র সুপারভাইজার মুনিবুর রহমান চৌধুরী (৫৬), সিনিয়র উন্নয়নকারী আইউব আলী (৫৮), হেল্পার হানিফ মিয়া (৪৮) ও কর্মচারী ইসমাইল প্রধান (৪৯)।
দুপুরে নারায়ণগঞ্জ সিআইডির কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে ডিআইজি মাঈনুল বলেন, মসজিদে বিস্ফোরণের ঘটনায় গাফলতি থাকায় সাক্ষ্য-প্রমাণের ভিত্তিতে সাময়িক বহিষ্কৃত তিতাসের এই আট কর্মকর্তা-কর্মচারীদের আটক করা হয়েছে। বিস্ফোরণের ঘটনায় দায়ের করা মামলায় তাদের গ্রেপ্তার দেখিয়ে পাঁচ দিনের রিমান্ড চেয়ে আদালতে পাঠানো হবে।
“মামলার তদন্তের কাজ অগ্রসর হয়েছে। তিতাসের কর্মকর্তাদের অবহেলার বিষয়টি তদন্তে উঠে এসেছে। মসজিদ কমিটির গাফলিত পাওয়া গেলে তাদেরকেও আইনের আওতায় আনা হবে। এ বিষয়ে এখনও তদন্ত চলছে।”
গত ৪ সেপ্টেম্বর রাত সাড়ে ৮টার দিকে এশার নামাজ চলাকালে ফতুল্লার পশ্চিম তল্লার বাইতুস সালাত জামে মসজিদে বিকট শব্দে বিস্ফোরণে অর্ধশতাধিক মানুষ অগ্নিদগ্ধ হন। তাদের ৩১ জন ইতোমধ্যে মারা গেছেন। আরও পাঁচজন এখনও চিকিৎসাধীন।
সেই রাতের ঘটনার পর প্রাথমিকভাবে ছয়টি এসি একসঙ্গে বিস্ফোরিত হওয়ার কথা বলা হলে পরে গ্যাস থেকে দুর্ঘটনা ঘটার কথা বলেন ফায়ার সার্ভিসের কর্মকর্তারা।
এঘটনায় ফায়ার সার্ভিস, জেলা প্রশাসন, তিতাস গ্যাস, ডিপিডিসি, সিটি করপোরেশন পৃথক পাঁচটি তদন্ত কমিটি গঠন করে। তদন্তের মধ্যে দিয়ে ধীরে ধীরে বেরিয়ে আসতে থাকে অনিয়ম ও গাফিলতির নানা তথ্য।
বিস্ফোরণের ঘটনায় তিতাস গ্যাস মসজিদের উত্তর পাশের সড়কের মাটি খুঁড়ে পরিত্যক্ত পাইপলাইনে ছয়টি ছিদ্র দেখতে পান। ছিদ্র পাওয়ার পর সোমবার তিতাসের চার কর্মকর্তাসহ ৮ জনকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়।
আরও পড়ুন