গভর্নরের সঙ্গে বৈঠক হলেও বিষয়টির সুরাহা হয়নি। সাংবাদিকদের অবাধ প্রবেশের নিষেধাজ্ঞা আগের মতোই বহাল রয়েছে।
করোনাভাইরাসে আরও ২২ মৃত্যু, শনাক্ত ১৫৪১
দেশে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে একদিনে আরও ২২ জনের মৃত্যু হয়েছে, নতুন রোগী শনাক্ত হয়েছেন ১ হাজার ৫৪১ জন।
Published : 18 Sept 2020, 09:25 AM
Updated : 18 Sept 2020, 11:21 AM
শুক্রবার বিকালে সংবাদমাধ্যমে বিজ্ঞপ্তি পাঠিয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে দেশে করোনাভাইরাস পরিস্থিতির এই সবশেষ তথ্য জানানো হয়।
সেখানে বলা হয়, সকাল ৮টা পর্যন্ত শনাক্ত ১ হাজার ৫৪১ জনকে নিয়ে দেশে করোনাভাইরাসে মোট আক্রান্তের সংখ্যা ৩ লাখ ৪৫ হাজার ৮০৫ জন হল।
আর গত এক দিনে মারা যাওয়া ২২ জনকে নিয়ে দেশে করোনাভাইরাসে মোট মৃতের সংখ্যা ৪ হাজার ৮৮১ জনে দাঁড়াল।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হিসাবে বাসা ও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আরও ১ হাজার ৯২৩ জন রোগী সুস্থ হয়ে উঠেছেন গত এক দিনে। তাতে সুস্থ রোগীর মোট সংখ্যা বেড়ে ২ লাখ ৫২ হাজার ৩৩৫ জন হয়েছে।
বাংলাদেশে করোনাভাইরাসের প্রথম সংক্রমণ ধরা পড়ে ৮ মার্চ, তা তিন লাখ পেরিয়ে যায় ২৬ অগাস্ট। এর মধ্যে ২ জুলাই ৪ হাজার ১৯ জন কোভিড-১৯ রোগী শনাক্ত হয়, যা এক দিনের সর্বোচ্চ শনাক্ত।
প্রথম রোগী শনাক্তের ১০ দিন পর ১৮ মার্চ দেশে প্রথম মৃত্যুর তথ্য নিশ্চিত করে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। ৭ সেপ্টেম্বর সেই সংখ্যা সাড়ে চার হাজার ছাড়িয়ে যায়। এর মধ্যে ৩০ জুন এক দিনেই ৬৪ জনের মৃত্যুর খবর জানানো হয়, যা এক দিনের সর্বোচ্চ মৃত্যু।
বিশ্বে এ পর্যন্ত শনাক্ত রোগীর সংখ্যা ইতোমধ্যে ৩ কোটি ছাড়িয়েছে; মৃতের সংখ্যা পৌঁছে প্রায় সাড়ে ৯ লাখে। জনস হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের তালিকায় বিশ্বে সনাক্তের দিক থেকে ১৫তম স্থানে আছে বাংলাদেশ, আর মৃতের সংখ্যায় রয়েছে ২৮তম অবস্থানে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় সারা দেশে ৯৫টি ল্যাবে ১২ হাজার ৭৩০ টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। এ পর্যন্ত পরীক্ষা হয়েছে ১৭ লাখ ৯৬ হাজার ৫০৯ টি নমুনা।
২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষার বিবেচনায় শনাক্তের হার ১২ দশমিক ১১ শতাংশ, এ পর্যন্ত মোট শনাক্তের হার ১৯ দশমিক ২৫ শতাংশ। শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৭২ দশমিক ৯৭ শতাংশ এবং মৃত্যুর হার ১ দশমিক ৪১ শতাংশ।
গত এক দিনে যারা মারা গেছেন তাদের মধ্যে পুরুষ ১৬ জন, নারী ৬ জন। তাদের ২১ জন হাসপাতালে ও ১ জন বাড়িতে মারা গেছেন।
তাদের মধ্যে ১২ জনের বয়স ছিল ৬০ বছরের বেশি। ৮ জনের বয়স ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে ও ২ জনের বয়স ৪১ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে ছিল।
১৩ জন ঢাকা বিভাগের, ৩ জন চট্টগ্রাম বিভাগের, ২ জন সিলেট বিভাগের এবং ১ জন করে মোট ৪ জন রাজশাহী, খুলনা, রংপুর ও ময়মনসিংহ বিভাগের বাসিন্দা ছিলেন।
দেশে এ পর্যন্ত মারা যাওয়া ৪ হাজার ৮৮১ জনের মধ্যে ৩ হাজার ৮০৪ জনই পুরুষ এবং ১ হাজার ৭৭ জন নারী।
তাদের মধ্যে ২ হাজার ৪৬০ জনের বয়স ছিল ৬০ বছরের বেশি। এছাড়া ১ হাজার ৩২৮ জনের বয়স ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে, ৬৩২ জনের বয়স ৪১ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে, ২৮৭ জনের বয়স ৩১ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে, ১১২ জনের বয়স ২১ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে, ৪১ জনের বয়স ১১ থেকে ২০ বছরের মধ্যে এবং ২১ জনের বয়স ছিল ১০ বছরের কম।
এর মধ্যে ২ হাজার ৩৮২ জন ঢাকা বিভাগের, ১ হাজার ২১ জন চট্টগ্রাম বিভাগের, ৩২৯ জন রাজশাহী বিভাগের, ৪১৩ জন খুলনা বিভাগের, ১৮৩ জন বরিশাল বিভাগের, ২২০ জন সিলেট বিভাগের, ২৩০ জন রংপুর বিভাগের এবং ১০৩ জন ময়মনসিংহ বিভাগের বাসিন্দা ছিলেন।
পুরনো খবর
এ সম্পর্কিত খবর
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছে, যুক্তরাষ্ট্রের মানবাধিকার প্রতিবেদনে দেশটির সহায়তাপুষ্ট এনজিওর ধারণা ফুটে উঠেছে।
৩৩ আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের শুনানি এর আগে কয়েক দফায় পিছিয়ে যায়।
“বাল্যবিবাহের মাধ্যমে কন্যাশিশুর স্বপ্নগুলো ভেঙে দেওয়া হয়,” বলেন তিনি।
