ভ্যাট রিটার্নে ‘শূন্য বিক্রি’ দেখিয়ে মদ বেচে আসছিল এরাম

ঢাকার শুক্রাবাদে হোটেল এরাম ইন্টারন্যাশনালের বারে অভিযান চালিয়ে কোটি টাকার ‘অবৈধ’ মদ ও বিয়ার’ জব্দ করেছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) ভ্যাট গোয়েন্দা দল।

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 17 Sept 2020, 02:30 PM
Updated : 17 Sept 2020, 04:39 PM

বৃহস্পতিবার দুপুর থেকে এই অভিযানে উদ্ধার করা মদের মধ্যে ৩৭৪ বোতল বিদেশি হুইস্কি এবং ৩ হাজার ৬৭২ ক্যান বিদেশি বিয়ার রয়েছে বলে ভ্যাট গোয়েন্দা অধিদপ্তরের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।

সেখানে বলা হয়, করোনাভাইরাস মহামারীর কারণে গত ১৯ মার্চ এক আদেশে দেশের সব বার পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছিল স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।

কিন্তু বৃহস্পতিবার অভিযানকালে দেখা যায়, নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে মদ ও বিয়ার বিক্রি অব্যাহত রেখেছে এরাম কর্তৃপক্ষ।

গত কয়েক মাসে ‘শূন্য বিক্রি’ দেখিয়ে মোহাম্মদপুর সার্কেলে ভ্যাট রিটার্ন জমা দিয়েছে হোটেল এরাম ইন্টারন্যাশনাল।

কিন্তু হোটেল প্রাঙ্গণ থেকে জব্দ করা বাণিজ্যিক কাগজ থেকে ভ্যাট গোয়েন্দা দল জানতে পেরেছে, সেসব মাসেও মদ বিক্রি করে গেছে এরাম। বিক্রির চালানের কপিও পাওয়া গেছে সেসব কাগজের মধ্যে।

এর মধ্য দিয়ে নিষেধাজ্ঞা লঙ্ঘনের পাশাপাশি এরাম কর্তৃপক্ষ সরকারের ভ্যাটও ফাঁকি দিয়েছে বলে জানানো হয় সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে।

সেখানে বলা হয়, এরামে যেসব মদ ও বিয়ার পাওয়া গেছে, সেগুলো হোটেলের ছাদ, মেঝে ও গ্যারেজের বিভিন্ন স্থানে লুকানো ছিল। সেগুলোর কোনো বৈধ কাগজও কর্তৃপক্ষ দেখাতে পারেনি।

ভ্যাট আইন অনুসারে এসব পণ্য কেনার তথ্য রেজিস্ট্রারে এন্ট্রি করার বাধ্যবাধকতা থাকলেও তা করা হয়নি জানিয়ে সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, “ভ্যাট গোয়েন্দাদের কাছে প্রতীয়মান হয়েছে যে, এসব মদ ও বিয়ার চোরাচালানীর উৎস থেকে সংগ্রহ করে হোটেল বারে বিক্রি করার উদ্দেশ্যে মজুদ করা হয়েছিল। এসব বিক্রি গোপন করে তারা ভ্যাট ফাঁকি দিত বলে ভ্যাট গোয়েন্দাদের সন্দেহ।”

বাজার মূল্যে প্রায় কোটি টাকার এসব মদ ঢাকা কাস্টম হাউজ গুদামে জমা দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে ভ্যাট গোয়েন্দা অধিদপ্তর।

হোটেল থেকে বিক্রির তথ্য ও বাণিজ্যিক নথিপত্র জব্দ করা হয়েছে জানিয়ে বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ভ্যাট আইন ও কাস্টমস আইন অনুসারে আরো তদন্ত করে অধিদপ্তর পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা নেবে।