বাংলাদেশে আধুনিক হাসপাতাল নির্মাণে আগ্রহী এরদোয়ান

বাংলাদেশে একটি আধুনিক হাসপাতাল নির্মাণে আর্থিক সহযোগিতা দেওয়ার কথা বলেছেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিজেপ তায়িপ এরদোয়ান।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 16 Sept 2020, 05:42 PM
Updated : 16 Sept 2020, 05:42 PM

বুধবার আঙ্কারায় বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আবদুল মোমেনের সঙ্গে  বৈঠকে এজন্য প্রয়োজনীয় জমি বরাদ্দের প্রস্তাব দিয়েছেন তিনি।

এর বাইরে এরদোয়ান দুই দেশের বাণিজ্য সম্পর্ক বৃদ্ধির উপর গুরুত্ব আরোপ করেছেন বলে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।

এক্ষেত্রে তুরস্কের প্রেসিডেন্টের পক্ষ থেকে সুনির্দিষ্ট কিছু প্রস্তাব দেওয়ার কথা উল্লেখ করে বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, “যার মধ্যে রয়েছে বিদ্যমান শুল্ক বাধা এড়িয়ে নতুন পণ্য, বস্ত্র, ওষুধ ও অন্যান্য খাতে বিনিয়োগ।

“এছাড়া উভয় দেশে বাণিজ্য মেলায় অংশগ্রহণ নিশ্চিত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।”

বৈঠকে বাণিজ্যিক পণ্য আদান-প্রদানের বিষয়ে নতুন উদ্যোগ গ্রহণ, আরও বেশি প্রতিনিধি দল প্রেরণ এবং মেলা ও প্রদর্শনীতে অংশগ্রহণের উপর গুরুত্বারোপ করেন তারা।

একইসঙ্গে শিক্ষা, সংস্কৃতি ও সামরিক খাতে চলমান সহযোগিতাকে শক্তিশালী হিসাবে অভিহিত করেন তারা।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, আগামী বছরের শুরুর দিকে ঢাকায় অনুষ্ঠেয় ডি-৮ শীর্ষ সম্মেলনে যোগদানের বিষয়ে সম্মতি দিয়েছেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট ও সংগঠনের বর্তমান চেয়ার এরদোয়ান। এ প্রসঙ্গে নতুন সদস্য রাষ্ট্র যুক্ত করে ডি-৮ সম্প্রসারণে জোর দেন তিনি।

নির্যাতিত ও দুর্গত রোহিঙ্গা শরণার্থীদের আশ্রয় দেওয়ায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভূয়সী প্রশংসা করে এক্ষেত্রে দ্বিপক্ষীয় ও আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে সম্ভাব্য সব বিষয়ে বাংলাদেশের পাশে থাকার আশ্বাস দেন এরদোয়ান।

কোভিড-১৯ মহামারী অবসানের পর দ্রুততম সময়ে ঢাকায় নব-নির্মিত তুর্কি দূতাবাস ভবন উদ্বোধনের সময় বাংলাদেশ সফরের আশাবাদ ব্যক্ত করেন প্রেসিডেন্ট এরদোয়ান।

দুই দেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মধ্যে নিয়মিত বিরতিতে উচ্চতর পর্যায়ে ফরেন অফিস কনসালটেশন (এফওসি) অনুষ্ঠিত হওয়ায় তিনি সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছেন উল্লেখ করে সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, “অদূর ভবিষ্যতে উভয় পক্ষ উচ্চতর পর্যায়ে নিয়মিত আলাপ-আলোচনা চালিয়ে নেওয়ার জন্য প্রয়োজনীয় ফোরাম গঠনের ব্যাপারে একমত হন।”

বৈঠকে অন্যদের মধ্যে তুরস্কের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মেভলুত চাবুসৌলো উপস্থিত ছিলেন।