স্বাস্থ্যের কালো তালিকার আরও তিন ঠিকাদারের বিরুদ্ধে দুদকের মামলা

অবৈধ সম্পদ অর্জন ও সম্পদের তথ্য গোপনের অভিযোগে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের কালো তালিকাভুক্ত তিন ঠিকাদারের বিরুদ্ধে পৃথক তিনটি মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 16 Sept 2020, 04:48 PM
Updated : 16 Sept 2020, 04:48 PM

বুধবার দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয় ঢাকা-১ এ সংস্থাটির সহকারী পরিচালক মো. সাইদুজ্জামান এসব মামলা করেন বলে কমিশনের পরিচালক (জনসংযোগ) প্রনব কুমার ভট্টাচার্য্য জানিয়েছেন।

বিভিন্ন মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের যন্ত্রপাতি কেনাকাটায় দুর্নীতি-অনিয়মে সংশ্লিষ্টতার অভিযোগে ১৪ ঠিকাদারকে কালো তালিকাভুক্ত করে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। তাদের মধ্যে এই তিন ঠিকাদার রয়েছেন।

আসামিরা হলেন- ঠিকাদার ও মেসার্স এম এইচ ফার্মার মালিক মো. মোসাদ্দেক হোসেন, মেসার্স অভি ড্রাগসের মালিক মো. জয়নাল আবেদীন ও মেসার্স আলবিরা ফার্মেসির মালিক মো. আলমগীর হোসেন।

মোসাদ্দেক হোসেনের বিরুদ্ধে মামলায় বলা হয়, তিনি দুই কোটি ৮৭ লাখ ৬৫ হাজার ৫৭৪ টাকার জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জন করেছেন। এর মধ্যে এক কোটি ৬৪ লাখ ৪০ হাজার ২৩৬ টাকার সম্পদের তথ্য গোপনের অভিযোগও আনা হয়েছে তার বিরুদ্ধে।

তার অবৈধ সম্পদের মধ্যে রংপুর সদর উপজেলার বিভিন্ন মৌজার জমি, বাড়ি, ঢাকায় দুটি ফ্ল্যাট ও ভবন রয়েছে।

অন্যদিকে মেসার্স অভি ড্রাগসের মালিক জয়নাল আবেদীনের বিরুদ্ধে দুই কোটি ৭৯ লাখ ৫১ হাজার ২৭২ টাকার অবৈধ সম্পদ ও সম্পদের তথ্য গোপনের অভিযোগ আনা হয়েছে।

মামলায় জয়নাল আবেদীনের এক কোটি ৭৩ লাখ ৬৫ হাজার ৭৮১ টাকার সম্পদের তথ্য গোপন ও এক কোটি ৫ লাখ ৮৫ হাজার ৪৯১ টাকার অবৈধ সম্পদের অভিযোগ আনা হয়েছে।

তার অবৈধ সম্পদের মধ্যে রয়েছে রংপুর সদর উপজেলার বিভিন্ন মৌজার জমি, বাড়ি, পুকুর ও ডোবা।

এছাড়া মেসার্স আলবিরা ফার্মেসির মালিক আলমগীর হোসেনের বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি দুদকে দাখিল করা সম্পদ বিবরণীতে ৯৫ লাখ ৫০ হাজার ৮৫৭ টাকার সম্পদের তথ্য গোপন করেছেন।

এর বাইরে দুদকের অনুসন্ধানে ৩০ লাখ ৬১ হাজার ৮৭৫ টাকার জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের তথ্য পাওয়ার কথা উল্লেখ রয়েছে মামলায়।

আলমগীর হোসেন মোট এক কোটি ২৬ লাখ ১২ হাজার ৭৩২ টাকার স্থাবর ও অস্থাবর সম্পদ অবৈধভাবে অর্জন করেছেন বলে মামলায় বলা হয়েছে।

তার ‘অবৈধ’ সম্পদ নিয়ে এজাহারে বলা হয়, তিনি অবৈধ অর্থ দিয়ে রংপুর সদর উপজেলার বিভিন্ন মৌজার জমি, বাড়ি, ঢাকায় ফ্ল্যাট, গাড়ি ক্রয় ও ভবন নির্মাণ করেছেন।

আসামিদের বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশন আইন- ২০০৪ এর ২৬(২) ও ২৭(১) ধারায় মামলা করা হয়েছে।