আবরার ফাহাদ হত্যা: ২৫ আসামির বিচার শুরুর আদেশ

বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদকে পিটিয়ে হত্যার মামলায় ২৫ আসামির বিচার শুরুর আদেশ দিয়েছে আদালত।

আদালত প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 15 Sept 2020, 06:23 AM
Updated : 15 Sept 2020, 02:01 PM

ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-১ এর বিচারক আবু জাফর মো. কামরুজ্জামান মঙ্গলবার আসামিদের অব্যাহতি ও জামিনের আবেদন নামঞ্জুর করে সবার বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন।

তিনি বলেন, ২০ সেপ্টেম্বর থেকে ১ অক্টোবর পর্যন্ত প্রতি কার্যদিবসে একটানা এ মামলার সাক্ষগ্রহণ চলবে। 

বুয়েটের শেরে বাংলা হলের আবাসিক ছাত্র ও তড়িৎ কৌশল বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী আবরারকে গত ৬ অক্টোবর রাতে ছাত্রলীগের এক নেতার কক্ষে নিয়ে নির্যাতন চালিয়ে হত্যা করা হয়। মামলার আসামিরাও সবাই ওই বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের বিভিন্ন বর্ষের শিক্ষার্থী।

আবরার ফাহাদ

পুলিশ বলছে, এদের মধ্যে ১১ জন হত্যায় ‘সরাসরি’ অংশ নেন। আর সেখানে উপস্থিতি এবং অন্যভাবে সম্পৃক্ততার কারণে বাকি ১৪ জনকে অভিযোগপত্রে আসামি করা হয়েছে।

তাদের মধ্যে কারাগারে থাকা ২২ জনকে অভিযোগ গঠনের বিষয়ে আদেশের জন্য মঙ্গলবার আদালতে হাজির করা হয়। বাকি তিনজনকে পলাতক দেখিয়েই এ মামলার বিচার চলবে।

গত ২ সেপ্টেম্বর ২৫ আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের আবেদন করেন রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট মোশাররফ হোসেন কাজল, এহেসানুল হক সমাজী ও অ্যাডভোকেট মো. আবু আব্দুল্লাহ ভূঁইয়া।

ওইদিন কারাগারে থাকা ২২ আসামির মধ্যে ১৫ আসামির পক্ষে তাদের আইনজীবীরা অব্যাহতির আবেদনের ওপর শুনানি করেন। পরে ৯ সেপ্টেম্বর বাকি আসামিদের অব্যাহতির আবেদনের ওপর শুনানি শেষে বিচারক আদেশের জন্য মঙ্গলবার দিন ঠিক করে দেন।

নিয়ম অনুযায়ী আদালতে উপস্থিত আসামিদের কাছে জানতে চাওয়া হয়েছিল- তারা দোষি না নির্দোষ। উত্তরে ২২ জনই নিজেকে নির্দোষ দাবি করে সুবিচার প্রার্থনা করেন। পরে আদালত তাদের অব্যাহতির আবেদন নাকচ করে অভিযোগ গঠনের মধ্য দিয়ে বিচার শুরুর আদেশ দেন। 

এ মামলার পলাতক তিন আসামির পক্ষে রাষ্ট্রীয় খরচে আইনজীবীর দায়িত্ব পালন করছেন মো. সাহাবুদ্দিন, আব্দুর রশিদ মোল্লা এবং বদিউল আলম ভূইয়া।

আবরার হত্যায় অভিযুক্ত যারা

এজাহারের ১৯ আসামি: বুয়েট ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মেহেদী হাসান রাসেল (সিই বিভাগ, ১৩তম ব্যাচ), সহসভাপতি মুহতাসিম ফুয়াদ (১৪তম ব্যাচ, সিই বিভাগ), সাংগঠনিক সম্পাদক মেহেদী হাসান রবিন (কেমিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগ, ১৫তম ব্যাচ), তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক অনিক সরকার (মেকানিক্যাল ইঞ্জনিয়ারিং, ১৫তম ব্যাচ), সাহিত্য সম্পাদক মনিরুজ্জামান মনির (ওয়াটার রিসোর্সেস ইঞ্জিনিয়ারিং, ১৬তম ব্যাচ), ক্রীড়া সম্পাদক মেফতাহুল ইসলাম জিয়ন (মেরিন ইঞ্জিনিয়ারিং, ১৫তম ব্যাচ), উপসমাজসেবা সম্পাদক ইফতি মোশারফ সকাল (বায়োমেডিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং, ১৬তম ব্যাচ), সদস্য মুনতাসির আল জেমি (এমআই বিভাগ), সদস্য মুজাহিদুর রহমান (ইইই বিভাগ, ১৬তম ব্যাচ), সদস্য হোসেন মোহাম্মদ তোহা (এমই বিভাগ, ১৭তম ব্যাচ), সদস্য এহতেশামুল রাব্বি তানিম (সিই বিভাগ, ১৭তম ব্যাচ), শামীম বিল্লাহ (মেরিন ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগ, ১৭তম ব্যাচ), মাজেদুল ইসলাম (এমএমই বিভাগ, ১৭তম ব্যাচ), আকাশ হোসেন (সিই বিভাগ, ১৬তম ব্যাচ), খন্দকার তাবাখখারুল ইসলাম তানভীর (মেকানিক্যাল, ১৭তম ব্যাচ), মাহমুদুল জিসান (ইইই বিভাগ, ১৬তম ব্যাচ), মোয়াজ আবু হোরায়রা (সিএসই, ১৭ ব্যাচ), এ এস এম নাজমুস সাদাত (এমই বিভাগ, ১৭তম ব্যাচ), মোর্শেদ অমর্ত্য ইসলাম (এমই বিভাগ, ১৭তম ব্যাচ) ।

এজাহারের বাইরের ৬ আসামি: বুয়েট ছাত্রলীগের গ্রন্থনা ও প্রকাশনা সম্পাদক ইসতিয়াক আহমেদ মুন্না (মেকানিক্যাল, তৃতীয় বর্ষ), আইনবিষয়ক উপসম্পাদক অমিত সাহা (সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং), মিজানুর রহমান (ওয়াটার রিসোসের্স, ১৬ ব্যাচ), শামসুল আরেফিন রাফাত (মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং), উপ-দপ্তর সম্পাদক মুজতবা রাফিদ (কেমিকৌশল) এবং মাহামুদ সেতু (কেমিকৌশল)।

পলাতক ৩ জন: এহতেশামুল রাব্বি তানিম (সিই বিভাগ, ১৭তম ব্যাচ), মাহমুদুল জিসান (ইইই বিভাগ, ১৬তম ব্যাচ) এবং মুজতবা রাফিদ (কেমিকৌশল)।

‘স্বীকারোক্তি’ দিয়েছেন ৮ জন: মেহেদী হাসান রবিন, অনিক সরকার, ইফতি মোশাররফ সকাল, মনিরুজ্জামান মনির, মেফতাহুল ইসলাম জিয়ন, মুজাহিদুর রহমান মুজাহিদ, এ এস এম নাজমুস সাদাত এবং খন্দকার তাবাখ্খারুল ইসলাম তানভীর।

মারপিটে সরাসরি জড়িত ১১ জন: মেহেদী হাসান রবিন, অনিক সরকার, ইফতি মোশাররফ সকাল, মনিরুজ্জামান মনির, মেফতাহুল ইসলাম জিয়ন, মুজাহিদুর রহমান মুজাহিদ, শামীম বিল্লাহ, এ এস এম নাজমুস সাদাত, মুনতাসির আল জেমি, এহতেশামুল রাব্বি তানিম এবং খন্দকার তাবাখ্খারুল ইসলাম তানভীর।

ছাত্রলীগ থেকে বহিষ্কৃত ১১ জন: মেহেদী হাসান রাসেল, মুহতাসিম ফুয়াদ, মেহেদী হাসান রবিন, অনিক সরকার, মেফতাহুল ইসলাম জিয়ন, মনিরুজ্জামান মনির, ইফতি মোশাররফ সকাল, মুনতাসির আল জেমি, এহতেশামুল রাব্বি তানিম, মুজাহিদুর রহমান মুজাহিদ এবং মুজতবা রাফিদ।

বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদকে পিটিয়ে হত্যার মামলায় অভিযোগ গঠনের আগে মঙ্গলবার ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে আসামিদের। এ মামলায় ২৫ আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দিয়েছে আদালত। ছবি: আসিফ মাহমুদ অভি

বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদকে পিটিয়ে হত্যার মামলায় অভিযোগ গঠনের আগে মঙ্গলবার ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে আসামিদের। এ মামলায় ২৫ আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দিয়েছে আদালত। ছবি: আসিফ মাহমুদ অভি

মামলা বৃত্তান্ত

আবরারকে যে রাতে হত্যা করা হয়, তার পরদিন ৭ অক্টোবর তার বাবা ১৯ শিক্ষার্থীকে আসামি করে চকবাজার থানায় মামলা করেন। তদন্তে নেমে পুলিশ এজাহারের ১৬ জনসহ মোট ২১ জনকে গ্রেপ্তার করে।

পাঁচ সপ্তাহ তদন্ত করে তদন্ত কর্মকর্তা গোয়েন্দা পরিদর্শক ওয়াহিদুজ্জামান গত ১৩ নভেম্বর ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতে যে অভিযোগপত্র জমা দেন, সেখানে আসামি করা হয় মোট ২৫ জনকে।

অভিযোগপত্র গ্রহণ করে গত ১৮ নভেম্বর পলাতক চার আসামির বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে আদালত। তাদের মধ্যে একজন পরে আদালতে আত্মসমর্পণ করেন।

গত ১৫ মার্চ স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগ থেকে মামলাটি ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-১ এ স্থানান্তর করে আদেশ জারি হয়।

মামলার অভিযোগপত্রে মোট ৩১ জনকে সাক্ষী রাখা হয়েছে। তাদের মধ্যে বাদীপক্ষের ৬ জন ছাড়াও বুয়েটের সাতজন শিক্ষক, ১৩ জন শিক্ষার্থী এবং ৫ জন কর্মচারী রয়েছেন।

দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে যে কোনো মামলা ৯০ কার্যদিবসের মধ্যে নিষ্পত্তি করার বাধ্যবাধকতা রয়েছে। ওই সময়ের মধ্যে নিষ্পত্তি করা না গেলে আরও ৪৫ দিন সময় নিতে পারে আদালত।

সন্দেহ থেকে পিটিয়ে হত্যা

এ মামলায় গ্রেপ্তার ২১ জনের মধ্যে আটজন আদালতে দায় স্বীকার করে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন; তাদের সবাই বুয়েট ছাত্রলীগের নেতা-কর্মী।

আবরারকে কীভাবে ক্রিকেট স্টাম্প আর স্কিপিং রোপ দিয়ে কয়েক ঘণ্টা ধরে বেধড়ক পেটানো হয়েছিল, সেই ভয়ঙ্কর বিবরণ উঠে এসেছে তাদের জবানবন্দিতে।

আবরারকে সেদিন সন্ধ্যার পর ওই হলের ২০১১ নম্বর কক্ষে ডেকে নিয়ে যাওয়া হয়। কয়েক ঘণ্টা ধরে নির্যাতনের পর দোতলা ও নিচতলার সিঁড়ির মাঝামাঝি জায়গায় তাকে অচেতন অবস্থায় ফেলে যায় কয়েকজন ছাত্রলীগ কর্মী। ভোরে চিকিৎসক এসে তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

সেদিন ঘটনার সংক্ষিপ্ত বিবরণ দিয়ে জাজ মাল্টিমিয়ার তৈরি করা একটি ভিডিও গত ১৩ নভেম্বর সাংবাদিকদের দেখানো হয় পুলিশের পক্ষ থেকে।

আবরার নিহত হওয়ার আগে ফেইসবুকে তার শেষ পোস্টে ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের করা কয়েকটি চুক্তির সমালোচনা করেছিলেন।

বুয়েট ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরাই যে ফেইসবুকে মন্তব্যের সূত্র ধরে ‘শিবির সন্দেহে’ আবরারকে ডেকে নিয়ে পিটিয়ে হত্যা করেছে, তা সংগঠনটির তদন্তে উঠে এলে ১২ জনকে বহিষ্কার করা হয়।

আবরারকে কেবল শিবির সন্দেহে ডেকে নেওয়া হয়েছিল, নাকি এর পেছনে অন্য কোনো কারণ ছিল- সেই প্রশ্ন গত ১৩ নভেম্বর আদালতে অভিযোগপত্র আদালতে জমা দেওয়ার আগে পুলিশের সংবাদ সম্মেলনে করেছিলেন একজন সাংবাদিক। 

উত্তরে অতিরিক্ত কমিশনার মনিরুল ইসলাম সেদিন বলেন, ‘শিবির হিসেবে সন্দেহের’ বিষয়টি ছিল আবরারের ওপর নির্যাতনের ‘একটি কারণ’। আসলে বুয়েট ছাত্রলীগের ওই নেতাকর্মীরা অন্যদের মধ্যে আতঙ্ক সৃষ্টির জন্য ‘উচ্ছৃঙ্খল আচরণে অভ্যস্ত’ হয়ে গিয়েছিল।

“ছোটখাটে বিষয়ে কেউ একটু দ্বিমত পোষণ করলে, কিংবা কেউ এদের বিরুদ্ধে কথা বললে, কিংবা সালাম না দেওয়ার কারণেও এই র‌্যাগিংয়ের নামে, মানে অন্যদেরকে, নতুন যারা আসবে, তাদের আতঙ্কিত করে রাখার জন্যই তারা এই কাজগুলো করে অভ্যস্ত।”

এসব বিষয় হল বা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের দেখার কথা। কিন্তু তদন্তে পুলিশ হল কর্তৃপক্ষের ‘এক ধরনের ব্যর্থতা’ দেখতে পেয়েছে বলে সেদিন জানান অতিরিক্ত কমিশনার মনিরুল।

“যারা এ ধরনের ঘটনা ঘটিয়েছে, তারা রাজনৈতিক পরিচয়কে শেল্টার হিসাবে ব্যবহার করেছে। তারা অছাত্রসুলভ আচরণ করেছে।”

সিসিটিভি ফুটেজে আবরারকে নির্যাতনের পর ফেলে যাওয়ার ছবি

মনিরুল বলেন, “তদন্তে উঠে এসেছে, রাত ১০টার পরে আবরারকে নির্যাতন করা শুরু হয় এবং রাত ২টা ৫০ মিনিটে তাকে মৃত ঘোষণা করা হয়। এর আগে যদি তাকে হাসপাতালে নেওয়া হত তাহলে হয়তো এমন পরিণতি হত না।”

শেরেবাংলা হলের যে ২০১১ নম্বর কক্ষে আবরারকে নির্যাতন করা হয়, সেই কক্ষের আবাসিক ছাত্র বুয়েট ছাত্রলীগের আইনবিষয়ক উপসম্পাদক অমিত সাহাকেও অভিযোগপত্রে আসামি করা হয়েছে, যদিও এজাহারে তার নাম ছিল না। 

এ বিষয়ে এক প্রশ্নে মনিরুল সেদিন বলেন, “অমিত সাহা এর আগেও একজনকে পিটিয়েছে। আবরারকে মারপিটের সময় সে উপস্থিত না থাকলেও তাকে ডেকে আনাসহ তার বিষয়ে খোঁজ খবর নেওয়ার যথেষ্ট প্রমাণ রয়েছে। এ কারণে তাকে আসামির তালিকায় প্রথম দিকে রাখা হয়েছে।”

আবরারকে কক্ষে ডেকে নিয়ে নির্যাতন চালানোর আগে দুই দিন শেরে বাংলা হলের ক্যান্টিন এবং ওই হলের অতিথি কক্ষে বৈঠক হয়েছিল বলে গোয়েন্দা পুলিশের তদন্তে বেরিয়ে এসেছে।

গোয়েন্দা কর্মকর্তারা বলছেন, ৪ অক্টোবর সন্ধ্যায় ক্যান্টিনের বৈঠকে আটজন ছিলেন। পরদিন রাত ১০টায় অতিথি কক্ষের বৈঠকে আবরারকে মেরে হল থেকে বের করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়।

এই দুই বৈঠকে মোট ১২ জন ছিলেন। তারা হলেন- মনিরুজ্জামান মনির, ইফতি মোশাররফ সকাল,  আকাশ হোসেন, মুজতবা রাফিদ, অমিত সাহা, হোসেন মোহাম্মদ তোহা, সামছুল আরেফিন রাফাত, এহতেশামুল রাব্বি তানিম, মুহাম্মদ মোর্শেদ-উজ-জামান মন্ডল জিসান, মুনতাসির আল জেমি, মোর্শেদ অমর্ত্য ইসলাম এবং এ এস এম নাজমুস সাদাত।

গোয়েন্দা কর্মকর্তারা বলেছেন, ঘটনার সময় উপস্থিত না থাকলেও মেহেদী হাসান রাসেল এবং মুনতাসির ফুয়াদ বিভিন্ন দিক-নির্দেশনা দেন।

রাসেল শেরে বাংলা হলের দোতলায় নামিয়ে রাখা আবরারের মৃতদেহ তাড়াতাড়ি সরিয়ে ফেলার জন্য বুয়েটের চিকিৎসককে চাপ দিয়েছিলেন বলে অভিযোগপত্রে বলা হয়।

আবরার ফাহাদ নিহত হওয়ার পর আন্দোলনে নেমে ১০ দফা দাবি তোলেন বুয়েট শিক্ষার্থীরা। শিক্ষার্থীদের দাবির সঙ্গে বুয়েট শিক্ষক সমিতি ও সাবেক শিক্ষার্থীরাও সমর্থন প্রকাশ করেন।

তাদের দাবির মুখে বুয়েটে ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধ, আবরার হত্যার আসামিদের সাময়িক বহিষ্কার এবং হলগুলোতে নির্যাতন বন্ধে নানা পদক্ষেপ নেয় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।

পুরনো খবর