রোববার নির্বাচন কমিশনের এনআইডি উইং এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে জানান জুনিয়র কমিউনিকেশন কনসালটেন্ট মো. শফিক।
তিনি বলেন, “জাল এনআইডি তৈরিতে জড়িত থাকার অভিযোগে গোয়েন্দা পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার সবুজবাগ ও গুলশান থানা নির্বাচন অফিসে আউটসোর্স ডেটা এন্ট্রি অপারেটর সিদ্ধার্থ শঙ্কর সূত্রধর ও আনোয়ারুল ইসলামকে সাময়িকভাবে অব্যাহতি দিয়েছে ইসির আইডিইএ প্রকল্প।”
“এ ঘটনা তদন্তে একটি তদন্ত কমিটি গঠনের নির্দেশ দিয়েছেন এনআইডি উইংয়ের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. সাইদুল ইসলাম। তদন্তে দোষী সাব্যস্ত হলে প্রকল্পের এই দুই ডেটা এন্ট্রি অপারেটর অপারেটরকেই স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করা হবে।”
ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের লালবাগ বিভাগের এক অভিযানে এনআইডি উইংয়ের আউট সোর্সিংয়ে নিয়োগ পাওয়া দুই কর্মীসহ পাঁচজন গ্রেপ্তার হয়। এরপরই এ ব্যবস্থা নিল এনআইডি উইংয়ের ‘আইডেন্টিফিকেশন সিস্টেম ফর এনহ্যান্সিং এক্সেস টু সার্ভিস’ (আইডিইএ) প্রকল্প ।
পাশাপাশি জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন অনুবিভাগের মহাপরিচালক। এই ঘটনার সঙ্গে অন্য কেউ জড়িত থাকলে তাদের বিরুদ্ধেও কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন বলে উল্লেখ করেন তিনি।
রোহিঙ্গাদের এনআইডি জালিয়াতি তদন্তে গতি
এদিকে রোহিঙ্গাদের জাল এনআইডি চক্র ধরতে নির্বাচন কমিশনের তদন্ত কমিটি সোমবার থেকে মাঠে নামছে আবার।
চট্টগ্রাম ও কক্সবাজারে সরেজমিন পরিদর্শনে যাচ্ছে সোমবার কমিটির সদস্যরা।
অবৈধভাবে ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্তি রোধে এবং ভোটার নিবন্ধন প্রক্রিয়া, জাতীয় পরিচয়পত্র মুদ্রণ ও বিতরণসহ সার্বিক বিষয়ে ত্রুটি-বিচ্যুতি চিহ্নিতকরণ এবং দায় দায়িত্ব নির্ধারণ বিষয়ে ইতোমধ্যে কমিটি করেছে ইসি।
গঠিত কমিটির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, সরেজমিন চট্টগ্রাম ও কক্সবাজায়ে গিয়ে রোহিঙ্গা ভোটার অন্তর্ভুক্তিসহ মাঠ পর্যায়ে ভোটার রেজিস্ট্রেশন কার্যক্রম পরিদর্শন ও তদন্তের জন্য নির্ধারিত ছিল গত ২০ অগাস্ট। অনিবার্য কারণবশত ওইদিন চট্টগ্রাম যাওয়া সম্ভব হয় নি।
ইসির উপসচিব মো. শাহ আলম স্বাক্ষরিত এ সংক্রান্ত নির্দেশনায় বলা হয়েছে, ১৪ সেপ্টেম্বর (সোমবার) থেকে তদন্ত কাজ শেষ না হওয়া পর্যন্ত তা চলমান থাকবে।
আরও পড়ুন: