পাশাপাশি বসে যাচ্ছেন অভ্যন্তরীণ রুটের বিমানযাত্রীরা

কোভিড-১৯ মহামারীর মধ্যে অভ্যন্তরীণ রুটে চলাচলকারী বিমানযাত্রীরা রোববার থেকে পাশাপাশি আসনে বসে নিজ নিজ গন্তব্যে যেতে পারছেন বলে শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের পরিচালক এএইচএম তৌহিদ উল আহসান জানিয়েছেন।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 13 Sept 2020, 09:47 AM
Updated : 13 Sept 2020, 12:55 PM

রোববার দুপুরে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, সিভিল এভিয়েশনের নির্দেশনা অনুযায়ী অভ্যন্তরীণ রুটের যাত্রীরা এয়ারক্রাফটে পাশাপাশি আসনে বসছেন। সবকিছু স্বাভাবিকভাবেই চলবে।

“তবে সামনে বা পেছনে যে কোনো একদিকে ইকোনোমি ক্লাসের জন্য দুইটা করে সারি খালি রাখতে হবে এবং বিজনেস ক্লাসের জন্য একটি করে সারি খালি রাখতে হবে। যারা এয়ারক্রাফটের মাঝে বসবেন তাদের ফেইসগার্ড পড়া বাধ্যতামূলক।“

করোনাভাইরাস প্রাদুর্ভাবের মধ্যে বাংলাদেশ থেকে মার্চের পর বিভিন্ন দেশের সঙ্গে বিমান যোগাযোগ বন্ধ হয়ে যায়। প্রায় তিন মাস বিমান চলাচল বন্ধ থাকার পর জুন থেকে অভ্যন্তরীণ কয়েকটি গন্তব্যে ফ্লাইট চলাচল শুরু হয়।

করোনা ভাইরাস মহামারীর মধ্যে উদ্ভূত পরিস্থিতিতে যাত্রীদের এয়ারক্রাফটে ভ্রমণেরর সময় সিভিল এভিয়েশনের নির্দেশনা অনুযায়ী পাশের আসন ফাঁকা রাখতে হতো। কিন্তু রোববার থেকে সেটা তুলে দেওয়া হলো।

বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের জনসংযোগ শাখার উপ মহাব্যবস্থাপক তাহেরা খন্দকার বলেন, বিমান সব সময় যাত্রীদের নিরাপত্তা ও সুরক্ষার দিকে নজর রাখে। সিভিল এভিয়েশনের নির্দেশনা মেনেই তারা এই সুরক্ষা নিশ্চিত করে যাচ্ছে।

রোববার থেকে বেসরকারি বিমান সংস্থা ইউএস বাংলা এয়ারলাইন্স ও নভোএয়ারও সিভিল এভিয়েশনের নির্দেশনা মেনে তাদের ফ্লাইট পরিচালনা করছে।

ইউএস বাংলা এয়ারলাইন্সের জনসংযোগ শাখার মহাব্যবস্থাপক কামরুল ইসলাম বলেন, “সিভিল এভিয়েশনের এই উদ্যোগটিকে আমরা সাধুবাদ জানাই। এতে এই কয় মাসে এয়ারলাইন্স পরিচালনা করতে গিয়ে যেই ক্ষতি হয়েছে তা কিছু হলেও কমে আসবে।

“এই অবস্থায় কোন যাত্রী অসুস্থ হয়ে পড়লে তাদের জন্য চারটি আসন ফাঁকা রাখা হচ্ছে। এছাড়াও এয়ারলাইন্সের পক্ষ থেকে ফেইসগার্ড, হ্যান্ড গ্লাভস এবং মাস্কও দেয়া হচ্ছে।“