বুধবার থেকে এ চুক্তি বাতিল বলে গণ্য হবে বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
চুক্তি বাতিল করে হলি ফ্যামিলি হাসপাতালের পরিচালককে মঙ্গলবার একটি চিঠি দিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
কোভিড-১৯ সংক্রমণ নিয়ে হলি ফ্যামিলি হাসপাতালে ভর্তি রোগীদের আগামী সাত দিনের মধ্যে অন্য সরকারি হাসপাতালে স্থানান্তর করতে বলা হয়েছে সেখানে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হাসপাতাল শাখার পরিচালক ডা. মো. ফরিদ হোসেন মিঞার পাঠানো ওই চিঠিতে বলা হয়েছে, “হলি ফ্যামিলি হাসপাতালে পরিচালন ব্যয়ের তুলনায় রোগী সেবার কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্য অর্জিত হয়নি। এ কারণে কোভিড-১৯ হাসপাতাল হিসেবে এর কার্যক্রম বন্ধের নির্দেশ দেওয়া হল।”
কোভিড-১৯ সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ার পর সরকারি হাসপাতালের পাশাপাশি বেসরকারি হাসপাতালেও চিকিৎসার ব্যবস্থা করে সরকার। এজন্য কয়েকটি বেসরকারি হাসপাতালের সঙ্গে চুক্তি করে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। হলি ফ্যামিলি হাসপাতাল এর মধ্যে একটি।
চুক্তি অনুযায়ী, এসব হাসপাতালে কোভিড-১৯ আক্রান্তদের চিকিৎসার খরচ সরকার দেয়।
গত ৭ মে হলি ফ্যালিমি হাসপাতালের সঙ্গে চুক্তি করে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। ১৭ মে থেকে সেখানে কোভিড-১৯ আক্রান্তদের চিকিৎসা দেওয়া শুরু হয়।
ঢাকায় মোট ২১টি হাসপাতালে এতদিন কোভিড-আক্রান্তদের চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছিল, এর মধ্যে ৯টি বেসরকারি হাসপাতাল।
অনেক শয্যা খালি পড়ে থাকায় করোনাভাইরাস চিকিৎসায় নিবেদিত হাসপাতালের সংখ্যা কমিয়ে আনার পরিকল্পনার কথা গত মাসেই জানিয়েছিল সরকার।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হিসাবে বুধবার ঢাকায় ২১টি কোভিড-১৯ ডেডিকেটেড হাসপাতালের ৬ হাজার ১০৫টি শয্যার মধ্যে খালি আছে ৪ হাজার ৪০টি এবং ৩০৭টি আইসিইউ শয্যার মধ্যে ১১৩টি খালি আছে।
সব মিলিয়ে সারাদেশে ১৪ হাজার ৩১৩টি সাধারণ শয্যার ১০ হাজার ৮৬৯টি এবং ৫৪৭টি আইসিইউ শয্যার মধ্যে ২৪৬টি খালি আছে।