বকেয়া বেতন: বিক্ষোভে হলি ফ্যামিলির চিকিৎসক-কর্মচারীরা

বকেয়া বেতন-ভাতা পরিশোধের দাবিতে বিক্ষোভ করেছেন রাজধানীর হলি ফ্যামিলি রেড ক্রিসেন্ট মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের চিকিৎসক-কর্মচারীরা।

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 9 Sept 2020, 08:26 AM
Updated : 9 Sept 2020, 11:33 AM

প্রায় দেড় থেকে দুইশ চিকিৎসক-কর্মচারী বুধবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে হাসপাতালের পরিচালক অধ্যাপক মোহাম্মদ মোর্শেদের কক্ষের সামনে অবস্থান নিয়ে তাকে অবরুদ্ধ করেন।

বেলা ১টা পর্যন্ত বিক্ষোভকারীরা পরিচালকের কক্ষের বাইরে অবস্থান করেন।

এক পর্যায়ে বিক্ষোভরতদের মধ্যে থেকে কয়েকজন কক্ষে ঢুকে পরিচালকের কাছে জানতে চান, কবে তাদের বেতন-ভাতা পরিশোধ করা হবে। তবে এ বিষয়ে পরিচালকের কাছ থেকে কোনো আশ্বাস পাননি তারা।

বিক্ষোভকারীদের একজন সিনিয়র স্টাফ নার্স আমেনা বেগম জানান, তাদের পাঁচ মাসের বেতন বাকি আছে।

“জানুয়ারি মাসের অর্ধেক বেতন দিয়েছে। ফেব্রুয়ারি-মার্চ দেয়নি। এপ্রিল ও মে মাসের বেতন হয়েছে। এরপর জুন থেকে এখন পর্যন্ত কোনো বেতন হয়নি।”

রাজধানীর হলি ফ্যামিলি রেড ক্রিসেন্ট মেডিকেল কলেজের চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীরা বকেয়া বেতনের দাবিতে বুধবার দুপুরে হাসপাতালের পরিচালক ডা. মো মোরশেদকে তার কক্ষে অবরুদ্ধ করেন। ছবি: মাহমুদ জামান অভি

বেতন না পেয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছেন বলে জানান রফিকুল ইসলাম নামের একজন কর্মচারী।

তিনি বলেন, “আমার পকেটে ১০ টাকাও নাই। কীভাবে চলব? আমরা পরিচালকের কাছে গিয়েছিলাম। তিনি বলেছেন, টাকা নাই, কোত্থেকে দেবেন। এই কারণেই আমরা এখানে বিক্ষোভ করছি।”

এ বিষয়ে জানতে চাইলে পরিচালক অধ্যাপক মোহাম্মদ মোর্শেদ পরে কথা বলবেন বলে জানান।

বেলা ১টার দিকে হাসপাতালে আসেন হলি ফ্যামিলি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ভাইস চেয়ারম্যান ডা. হাবিবে মিল্লাত। বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে কথা বলেন তিনি।

হাবিবে মিল্লাত জানান, রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির সবগুলো প্রতিষ্ঠান নিজেদের আয়ে চলে। হলি ফ্যামিলি হাসপাতালকেও তার আয়ে চলতে হয়। তবে সম্প্রতি আয় কমে যাওয়ায় সমস্যা হচ্ছে।

“হাসপাতালটি এই মুহূর্তে লোকসানে আছে। আমরা কুলিয়ে উঠতে পারছি না, তবে আমরা চেষ্টা করছি। করোনাভাইরাসের সময় এই হাসপাতাল সরকার ব্যবহার করেছে। আমরা বিলের জন্য সরকারের কাছে আবেদন করেছি। সেটা পেলে সমস্যা কিছুটা সমাধান হবে। তবে তা স্থায়ী নয়। হাসপাতালের আয় না বাড়লে বেতন নিয়ে এই সমস্যা চলতেই থাকবে।”