চেতনা ফিরেছে ওয়াহিদার

ঢাকার জাতীয় নিউরোসায়েন্স ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন দিনাজপুরের ঘোড়াঘাটের উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ওয়াহিদা খানমের সংজ্ঞা ফিরেছে।

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 4 Sept 2020, 07:44 AM
Updated : 4 Sept 2020, 11:31 AM

হাসপাতালের উপপরিচালক অধ্যাপক ডা. বদরুল আলম শুক্রবার দুপুরে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, মাথায় অস্ত্রোপচারের পর ওয়াহিদা খানমের অবস্থা এখন ‘স্থিতিশীল’।

“উনার জ্ঞান ফিরেছে। তিনি তার স্বামীকে চিনতে পেরেছেন। এটা একটা ভালো লক্ষণ।"

বুধবার রাতে ঘোড়াঘাট উপজেলা পরিষদ ক্যাম্পাসে ইউএনওর বাসভবনের ভেন্টিলেটর দিয়ে বাসায় ঢুকে ওয়াহিদা খানম ও তার বাবা ওমর আলীর ওপর হামলা হয়।

গুরুতর আহত ওয়াহিদাকে প্রথমে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়েছিল। বৃহস্পতিবার বিকালে হেলিকপ্টারে তাকে ঢাকার এনে নিউরোসায়েন্স হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

হাতুড়ির আঘাতে বড় ধরনের জখম হওয়ায় বৃহস্পতিবার রাতে ওয়াহিদার মাথায় প্রায় দুই ঘণ্টা ধরে অস্ত্রোপচার চলে।

ডাক্তার বদরুল আলম বলেন, শনিবার একটি মেডিকেল বোর্ড বসবে। সেখানে আলোচনার পর ওয়াহিদা খানমের সর্বশেষ অবস্থা জানাবেন তারা।

ওয়াহিদার স্বামী মেজবাহুল হোসেন রংপুরের পীরগঞ্জের উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা। তাদের তিন বছর বয়সী এক ছেলে রয়েছে।

হামলার ঘটনার সময় ঘোড়াঘাটে ওয়াহিদার সরকারি বাসায় ছিলেন তার বাবা ওমর আলী। তিনি পুলিশকে বলেছেন, রাতে বাথরুমের ভেন্টিলেটর ভেঙে কেউ একজন বাসায় ঢোকে। ওয়াহিদা টের পেয়ে এগিয়ে গেল তার মাথায় হাতুড়ি দিয়ে আঘাত করে। এ সময় ওমর আলী এগিয়ে গেলে তাকেও হাতুড়ি দিয়ে আঘাত করে হামলাকারী পালিয়ে যায়।

গুরুতর আহত ওয়াহিদাকে প্রথমে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়েছিল। বৃহস্পতিবার বিকালে হেলিকপ্টারে তাকে ঢাকার এনে জাতীয় নিউরোসায়েন্স ইন্সটিটিউট ও হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

দিনাজপুরের ঘোড়াঘাটের ইউএনও ওয়াহিদা খানম

আর ওয়াহিদার বাবা ওমর আলীকে ঘোড়াঘাট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা দেওয়া হয়। নওগাঁ থেকে তিনি মেয়ের বাড়িতে বেড়াতে এসেছিলেন।

এ ঘটনায় ইউএনও ওয়াহিদার ভাই শেখ ফরিদ বৃহস্পতিবার রাতে ঘোড়াঘাট থানায় অজ্ঞাতনামা আসামিদের বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করেন। সেখানে হত্যাচেষ্টার অভিযোগ আনা হয়।

পুলিশ কর্মকর্তারা বৃহস্পতিবারই জানিয়েছিলেন, সিসি ক্যামেরার ভিডিওতে মুখোশ ও পিপিই পরা দুজনক সেই রাতে বাড়ির নিচে দেখা গেছে, যাদের একজনের হাতে মই ছিল।  

ওই ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে শুক্রবার ভোরে হাকিমপুর উপজেলার কালীগঞ্জ থেকে স্থানীয় যুবলীগের দুইজনকে গ্রেপ্তার করেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।

আরও পড়ুন: