এদিকে ওয়াহিদার ভাই বৃহস্পতিবার রাতে অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের আসামি করে ঘোড়াঘাট থানায় একটি মামলা করেছেন।
বুধবার রাতে ঘোড়াঘাট উপজেলা পরিষদ ক্যাম্পাসে ইউএনওর বাসভবনের ভেন্টিলেটর দিয়ে বাসায় ঢুকে ওয়াহিদা খানম ও তার বাবা ওমর আলীর ওপর হামলা চালানো হয়।
এই হামলা কে বা কারা কেন চালিয়েছে, সে বিষয়ে কোনো ধারণা স্থানীয় পুলিশ কিংবা প্রশাসন দিতে পারেনি।
গুরুতর আহত ওয়াহিদাকে প্রথমে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়েছিল। বৃহস্পতিবার বিকালে হেলিকপ্টারে তাকে ঢাকার এনে নিউরোসায়েন্স হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। রাতে তার অস্ত্রোপচার হয়েছে।
ঘোড়াঘাট থানার ওসি আমিরুল ইসলাম বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান, ইউএনওর ভাই শেখ ফরিদ বৃহস্পতিবার রাতে অজ্ঞাতনামাদের আসামি করে হত্যাচেষ্টার অভিযোগ এনে একটি মামলা করেছেন।
এই ঘটনায় থানা পুলিশ ছাড়াও র্যাব, ডিবি ও বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থা কাজ করছে জানিয়ে ওসি বলেন, “কয়েকজনকে আটক করে থানার বাইরে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। তাদের মধ্যে কাউকে গ্রেপ্তার করা হতে পারে।”
তাদের পরিচয় না জানিয়ে ওসি বলেন, “গ্রেপ্তারের পর থানায় আনা হলে তাদের নাম জানা যাবে।”
ওয়াহিদার উপর হামলার সময় তার বাবা ওমর আলী সেই বাসায় ছিলেন। নওগাঁ থেকে তিনি মেয়ের বাড়িতে বেড়াতে এসেছিলেন। হামলায় তিনিও আহত হন। তাকে ঘোড়াঘাট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
ওয়াহিদার স্বামী মেজবাহুল হোসেন রংপুরের পীরগঞ্জের উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা। তিনি ছিলেন তার কর্মস্থলে।
ওমর আলী পুলিশকে বলেছেন, রাতে বাথরুমের ভেন্টিলেটর ভেঙে কেউ একজন বাসায় ঢোকে। ওয়াহিদা টের পেয়ে এগিয়ে গেল তার মাথায় হাতুড়ি দিয়ে আঘাত করে। এ সময় ওমর আলী এগিয়ে গেলে তাকেও হাতুড়ি দিয়ে আঘাত করে হামলাকারী পালিয়ে যায়। ওসি বলেন, “ওই বাসা থেকে কোনো কিছু খোয়া যায়নি। এটি ডাকাতির চেষ্টা, না আক্রোশ থেকে কেউ হামলা করেছে, সেটা পুলিশ খতিয়ে দেখছে।”
রংপুর রেঞ্জের ডিআইজি দেবদাস ভট্টাচার্য্য ঘটনাস্থল থেকে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “এখনও ঘটনা স্পষ্ট না। আমরা বিষয়টি অত্যন্ত গুরুত্বের সাথে দেখছি। প্রকৃত ঘটনা জানার চেষ্টা করা হচ্ছে।”
এদিকে এই ঘটনার পর সারাদেশে ইউএনওদের বাড়ির নিরাপত্তায় আনসার মোতায়েন করার সিদ্ধান্ত জানিয়েছেন জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন।
আরও পড়ুন