ভোটের এই তারিখ চূড়ান্ত করে বৃহস্পতিবার দুই আসনের উপনির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করেছে নির্বাচন কমিশন।
ইসির জ্যেষ্ঠ সচিব মো. আলমগীর জানান, আগ্রহী প্রার্থীরা ১৭ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে মনোনয়নপত্র জমা দিতে পারবেন। ২০ সেপ্টেম্বর বাছাইয়ের পর ২৭ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত প্রার্থিতা প্রত্যাহার করা যাবে।
১৭ অক্টোবর সকাল ৯টা থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত এ দুই আসনে ইভিএমে ভোটগ্রহণ চলবে বলে জানান তিনি।
মো. আলমগীর বলেন, “স্বাস্থ্যবিধি মেনে ভোট নেওয়া হবে। ভোটের প্রচারেও সবাইকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে নির্দেশনা জারি করা হবে।”
ঢাকার আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তাকে ঢাকা-৫ এবং নওগাঁ জেলা নির্বাচন কর্মকর্তাকে নওগাঁ-৬ উপ নির্বাচনর রিটার্নিং কর্মকর্তার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।
গত ৬ মে হাবিবুর রহমান মোল্লার মৃত্যুতে ঢাকা-৫ আসন এবং ২৮ জুলাই ইসরাফিল আলমের মৃত্যুতে নওগাঁ-৬ আসন শূন্য ঘোষণা করা হয়।
আসন শূন্য হওয়ার পর ৯০ দিনের মধ্যে ভোট করার কথা থাকলেও করোনাভাইরাস মহামারীর মধ্যে তা সম্ভব হয়নি। নিয়ম অনুযয়ী নির্বাচন কমিশন এখন দ্বিতীয় ৯০ দিনের মধ্যে এই ভোটের আয়োজন করছে।
এর আগে গত ২৩ অগাস্ট কমিশন সভায় সিদ্ধান্ত হয়, করোনাভাইরাস মহামারীর মধ্যে আটকে থাকা পাবনা-৪ আসনের উপ নির্বাচনে ভোট হবে ২৬ সেপ্টেম্বর।
গত ১৩ জুন মোহাম্মদ নাসিমের মৃত্যুতে শূন্য হওয়া সিরাজগঞ্জ-১ আসন এবং ৯ জুলাই সাহারা খাতুনের মৃত্যুতে শূন্য হওয়া ঢাকা-১৮ আসনেও সামনে উপ নির্বাচন দিতে হবে ইসিকে।
সংবিধানের ১২৩ অনুচ্ছেদের ৪ দফায় বলা হয়েছে- সংসদের কোনো সদস্যপদ শূন্য হলে তার ৯০ দিনের মধ্যে নির্বাচন করতে হবে। তবে কোনো দৈব-দূর্বিপাকের কারণে এ নির্ধারিত মেয়াদের মধ্যে নির্বাচন সম্ভব না হলে পরবর্তী ৯০ দিনের মধ্যে ভোট করতে হবে।
এর আগে বগুড়া-১ ও যশোর-৬ আসনেও প্রথম ৯০ দিনে না পারায় পরের ৯০ দিনে উপ নির্বাচন করেছিল ইসি।
মহামারীর মধ্যে গত ১৪ জুলাই ওই দুটি আসনে উপনির্বাচনে যশোর-৬ আসনে ভোট পড়ে ৬৩.৫ শতাংশ। আর বগুড়া-১ আসনে ভোট দিয়েছেন ৪৫.৫ শতাংশ ভোটার।
এর আগে দেশে করোনাভাইরাসের প্রকোপ শুরুর পর ২১ মার্চ তিনটি উপ নির্বাচন হয়। তখন গাইবান্ধা-৩ ও বাগেরহাট-৪ আসনে উপনির্বাচনে ভোটার উপস্থিতি ছিল যথাক্রমে ৬০ ও ৬৯ শতাংশ। অবশ্য ঢাকা-১০ আসনে ইভিএমে মাত্র ৫ শতাংশ ভোট পড়ে।