সেই সঙ্গে নির্মাণাধীন ওই জোনে বিআইডব্লিউটিএ’র উচ্ছেদ অভিযান চালনার ওপর নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে।
১০ দিনের জন্য এই স্থিতাবস্থা জারির আদেশ দিয়ে আদালত বলেছে, বিরোধপূর্ণ ভূমি নিয়ে যৌথ জরিপ চালাতে আরিশা যে আবেদন করেছিল, বিআইডব্লিউটিএকে তা এই সময়ের মধ্যে নিষ্পত্তি করতে হবে।
আরিশার ব্যবস্থাপনা পরিচালক আসলামুল হকের করা এক রিট আবেদনের শুনানি করে বিচারপতি ওবায়দুল হাসান ও বিচারপতি একেএম জহিরুল হকের হাই কোর্ট বেঞ্চ বুধবার এ আদেশ দেয়।
আসলামুল হকের পক্ষে আইনজীবী ছিলেন রবিউল আলম বুদু, সৈয়দ মামুন মাহবুব ও সগির হোসেন লিওন। অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম এ মামলায় বিআইডব্লিউটিএ-এর আইনজীবী হিসেবে শুনানি করেন।
আইনজীবী সগির হোসেন লিওন পরে সাংবাদিকদের বলেন, আরিশা অর্থনৈতিক জোনের অনুমোদনের জন্য ২০১৬ সালে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের অধিনস্ত বাংলাদেশ অর্থনৈতিক জোন কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন করা হয়।
অনুমোদন পাওয়ার পর শামলাপুর মৌজার (তুরাগ নদের তীর সংলগ্ন) ৫০ দশমিক ৮১ একর জমির ওপর এই বেসরকারি অর্থনৈতিক জোন গড়ে তোলার কাজ শুরু হয়। গত বছর ৩ এপ্রিল প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ওই নির্মাণ কাজের উদ্বোধন করেন।
কিন্তু নদীর জমি দখলের অভিযোগে বিআইডব্লিউটিএ গত ২৩ অগাস্ট আরিশা কর্তৃপক্ষকে নোটিস দিয়ে সাত দিনের মধ্যে নদীর জমি থেকে স্থাপনা উচ্ছেদ করতে বলে। সেই সঙ্গে ভরাট করা মাটি সরিয়ে ভূমি আগের অবস্থায় ফিরিয়ে নিতে বলা হয় নোটিসে।
আরিশা অর্থনৈতিক জোন সাত দিনের মধ্যে কাজটি করতে ব্যর্থ হলে বিআইডব্লিউটিএ উচ্ছেদ করবে এবং সেই খরচ আরিশাকে বহন করতে হবে বলেও সেখানে সতর্ক করা হয়।
ওই নোটিস পাওয়ার পর গত ২৬ অগাস্ট এর জবাব দেয় আরিশা কর্তৃপক্ষ। তুরাগ নদের জমি দখলের অভিযোগ অস্বীকার করে ওই এলাকায় যৌথ জরিপ করার প্রস্তাব দেওয়া হয় সেখানে।
কিন্তু বিআইডব্লিউটিএ এ বিষয়ে কোনো জবাব না দেওয়ায় হাই কোর্টে এই রিট আবেদন করেন আসলামুল হক।