মঙ্গলবার বিকালে সংবাদমাধ্যমে বিজ্ঞপ্তি পাঠিয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে দেশে করোনাভাইরাস পরিস্থিতির এই সবশেষ তথ্য জানানো হয়।
সেখানে বলা হয়, সকাল ৮টা পর্যন্ত শনাক্ত ১ হাজার ৯৫০ জনকে নিয়ে দেশে করোনাভাইরাসে মোট আক্রান্তের সংখ্যা ৩ লাখ ১৪ হাজার ৯৪৬ জন হল।
আর গত এক দিনে মারা যাওয়া ৩৫ জনকে নিয়ে দেশে করোনাভাইরাসে মোট মৃতের সংখ্যা ৪ হাজার ৩১৬ জনে দাঁড়াল।
আইইডিসিআরের হিসাবে বাসা ও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আরও ৩ হাজার ২৯০ জন রোগী সুস্থ হয়ে উঠেছেন গত এক দিনে। তাতে সুস্থ রোগীর মোট সংখ্যা বেড়ে ২ লাখ ৮ হাজার ১৭৭ জন হয়েছে।
বাংলাদেশে করোনাভাইরাসের প্রথম সংক্রমণ ধরা পড়ে ৮ মার্চ, ২৬ অগাস্ট তা তিন লাখ পেরিয়ে যায়। এর মধ্যে ২ জুলাই ৪ হাজার ১৯ জন কোভিড-১৯ রোগী শনাক্ত হয়, যা এক দিনের সর্বোচ্চ শনাক্ত।
প্রথম রোগী শনাক্তের ১০ দিন পর ১৮ মার্চ দেশে প্রথম মৃত্যুর তথ্য নিশ্চিত করে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। ২৫ অগাস্ট সেই সংখ্যা চার হাজার ছাড়িয়ে যায়। এর মধ্যে ৩০ জুন এক দিনেই ৬৪ জনের মৃত্যুর খবর জানানো হয়, যা এক দিনের সর্বোচ্চ মৃত্যু।
বিশ্বে এ পর্যন্ত শনাক্ত রোগীর সংখ্যা ইতোমধ্যে ২ কোটি ৫৪ লাখ পেরিয়েছে; মৃতের সংখ্যা পৌঁছেছে সাড়ে ৮ লাখে।
জনস হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের তালিকায় শনাক্ত রোগীর সংখ্যা বিবেচনায় বিশ্বে বাংলাদেশের অবস্থান এখন ১৫তম স্থানে। তার মৃতের সংখ্যায় বাংলাদেশ রয়েছে ২৯তম অবস্থানে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় সারা দেশে ৯২টি ল্যাবে ১২ হাজার ২০৯টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। এ পর্যন্ত পরীক্ষা হয়েছে ১৫ লাখ ৬২ হাজার ৪১২টি নমুনা।
২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষার বিবেচনায় শনাক্তের হার ১৫ দশমিক ৯৭ শতাংশ, এ পর্যন্ত মোট শনাক্তের হার ২০ দশমিক ১৬ শতাংশ। শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৬৬ দশমিক ১০ শতাংশ এবং মৃত্যুর হার ১ দশমিক ৩৭ শতাংশ।
গত এক দিনে যারা মারা গেছেন তাদের মধ্যে পুরুষ ২১ জন, নারী ১৪ জন। ৩২ জন হাসপাতালে এবং ৩ জন বাড়িতে মারা গেছেন।
তাদের মধ্যে ১৮ জনের বয়স ছিল ৬০ বছরের বেশি। ১১ জনের বয়স ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে, ৪ জনের বয়স ৪১ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে, ১ জনের বয়স ৩১ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে এবং ১ জনের বয়স ২১ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে ছিল।
১৪ জন ঢাকা বিভাগের, ৭ জন চট্টগ্রাম বিভাগের, ৩ জন করে মোট ৬ জন রাজশাহী ও খুলনা বিভাগের, ২ জন বরিশাল বিভাগের, ১ জন করে মোট ২ জন সিলেট ও ময়মনসিংহ বিভাগের এবং ৪ জন রংপুর বিভাগের বাসিন্দা ছিলেন।
দেশে এ পর্যন্ত মারা যাওয়া ৪ হাজার ৩১৬ জনের মধ্যে ৩ হাজার ৩৮৫ জনই পুরুষ এবং ৯৩১ জন নারী।
তাদের মধ্যে ২ হাজার ১৩৪ জনের বয়স ছিল ৬০ বছরের বেশি। এছাড়া ১ হাজার ১৮২ জনের বয়স ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে, ৫৭৭ জনের বয়স ৪১ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে, ২৬৩ জনের বয়স ৩১ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে, ১০৫ জনের বয়স ২১ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে, ৩৬ জনের বয়স ১১ থেকে ২০ বছরের মধ্যে এবং ১৯ জনের বয়স ছিল ১০ বছরের কম।
২ হাজার ৮৩ জন ঢাকা বিভাগের, ৯৩৯ জন চট্টগ্রাম বিভাগের, ২৯০ জন রাজশাহী বিভাগের, ৩৫৯ জন খুলনা বিভাগের, ১৬৮ জন বরিশাল বিভাগের, ১৯২ জন সিলেট বিভাগের, ১৯৪ জন রংপুর বিভাগের এবং ৯১ জন ময়মনসিংহ বিভাগের বাসিন্দা ছিলেন।
পুরনো খবর