ঢাবির ছাত্রী ধর্ষণের আসামি মজনুর বিচার শুরুর আদেশ

আট মাস আগে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ছাত্রীকে ধর্ষণের মামলায় একমাত্র আসা‌মি মজনুর বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন হয়েছে।

আদালত প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 26 August 2020, 12:03 PM
Updated : 26 August 2020, 12:07 PM

বুধবার ঢাকার সপ্তম নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব‌্যুনা‌লের বিচারক মোছা. কামরুন্নাহার আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর নির্দেশ দেন।

কারাগারে থাকা মজনুর ভার্চুয়াল উপস্থিতির মধ্যে অভিযোগ গঠনের শুনানি হয়। বিচারক নিজের মোবাইল ফোনের মাধ্যমে মজনুকে তার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ পড়ে শোনান। মজনু এসময় নিজেকে নির্দোষ দাবি করেন।

আদালত আলোচিত এই মামলায় ভার্চুয়ালি সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য ৯ সেপ্টেম্বর দিন ঠিক করে দিয়েছেন।

আসামি মজনুর পক্ষে কোনো আইনজীবী শুনানিতে ছিলেন না।

সরকারিভাবে আইনজীবী নিয়োগের জন্য কারা কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে তাকে আবেদন করতে বিচারক বলেছেন বলে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান ট্রাইবুনালে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজবী ফারজানা আহমেদ অরেঞ্জ।

নোয়াখালীর হাতিয়ায় মজনু (৩০) জীবিকার তাগিদে বছর দশেক আগে ঢাকায় আসেন। তিনি ‘সিরিয়াল রেপিস্ট’ বলে র‌্যাবের ভাষ্য।

এই বছরের শুরুতে ৫ জানুয়ারি সন্ধ্যায় বিশ্ববিদ্যালয়ের বাস থেকে ঢাকার কুর্মিটোলা বাস স্টপেজে নামার পর ওই ছাত্রীকে মুখ চেপে ধরে সড়কের পাশের ঝোঁপের আড়ালে নিয়ে ধর্ষণ করা হয়। এসময় অজ্ঞান হয়ে পড়েছিলেন ওই তরুণী।

জ্ঞান ফেরার পর তিনি ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে যান চিকিৎসা নিতে।

ছাত্রী ধর্ষণের ঘটনায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় উত্তাল হয়ে ওঠে। বিভিন্ন সংগঠনও নানা কর্মসূচি পালন করে।

ওই তরুণীর কাছে বর্ণনা শুনে ৮ জানুয়ারি গাজীপুর থেকে গ্রেপ্তার করা হয় মজনুকে। ওই তরুণী মজনুকে ধর্ষণকারী হিসেবে শনাক্ত করার পর ১৬ জানুয়া‌রি আদালতে স্বীকারো‌ক্তিমূলক জবানব‌ন্দিও দেন এই ব্যক্তি।

দুই মাস পর গত ১৬ মার্চ মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ডি‌বির প‌রিদর্শক আবু বকর সি‌দ্দিক আদালতে অভি‌যোগত্র দা‌খিল ক‌রেন। তাতে শুধু মজনুকেই আসামি করা হয়। রাষ্ট্রপ‌ক্ষে সাক্ষী করা হয় ১৬ জনকে। ভুক্তভোগীর পোশাক ও মোবাইল ফোনসহ ২০টি আলামত জমা দেওয়া হয় আদালতে।

এরপর বিচারের জন্য মামলাটি ঢাকার সপ্তম নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব‌্যুনালে বদলি করা হয়।

এরপর গত ১৬ আগস্ট এই আদালত মামলার অভিযোগপত্র আমলে নিয়ে অভিযোগ গঠনের জন্য ২৬ অগাস্ট দিন ঠিক করে দিয়েছিল।