‘অনুকূল’ পরিবেশ পেলে’ ১৫ দিনের মধ্যে এইচএসসি পরীক্ষা: শিক্ষামন্ত্রী

দেশে করোনাভাইরাসের প্রকোপ কমে পরিবেশ অনুকূল হলে তার ১৫ দিনের মধ্যে এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি।

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 20 August 2020, 02:19 PM
Updated : 20 August 2020, 04:40 PM

আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে বৃহস্পতিবার শিক্ষা মন্ত্রণালয় আয়োজিত জাতীয় শোক দিবসের আলোচনা সভা শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নে তিনি একথা বলেন।

দেশের পরিবেশ এখনও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়ার মতো হয়নি বলে মনে করেন দীপু মনি।

দীপ মনি বলেন, “১৫ দিন অন্ততপক্ষে শিক্ষার্থীদের নোটিস দিয়ে আমরা পরীক্ষা নেব। কিন্তু পরীক্ষা নেওয়ার মতো পরিস্থিতি হতে হবে, আমাদের দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করতে হবে।

“আমরা যখন বুঝব এবং আপনারাও (গণমাধ্যমকর্মী) বুঝবেন এত বড় পাবলিক পরীক্ষা নেওয়ার মতো অনুকূল পরিবেশ আছে, সেটি হওয়া মাত্রই আমরা এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত জানিয়ে দেব।”

কোভিড-১৯ মহামারীর কারণে ১৭ মার্চ থেকে দেশের সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখা হয়েছে। গত ১ এপ্রিল থেকে এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা শুরুর কথা থাকলেও তা একই কারণে আটকে আছে।

দীপু মনি বলেন, “এইচএসসি বন্ধ করে দিতে বাধ্য হয়েছি কারণ তখন পরীক্ষা নেওয়ার মতো পরিস্থিতি ছিল না। এখনও এত বড় একটি পাবলিক পরীক্ষা যেখানে শুধুমাত্র ১৪ লাখ পরীক্ষার্থী, তারসঙ্গে শিক্ষকরা আছেন যারা পরীক্ষক হিসেবে থাকবেন, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা থাকবেন, পরিবারের সদস্যরা পরীক্ষার্থীদের সঙ্গে আসেন।

“এদের অধিকাংশই কিন্তু গণপরিবহনে যাতায়াত করেন, এই বিপুল সংখ্যক মানুষের জীবনের ঝুঁকি নিয়ে একটা পরীক্ষা আমরা চাইলেই করে করে ফেলতে পারি না, আমাদের অনেক জিনিসই ভাবতে হয়।”

জেএসসি-জেডিসি পরীক্ষা নিয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে প্রস্তাবনা প্রধানমন্ত্রীর কাছে পাঠানো হবে জানিয়ে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, “যেভাবেই সিদ্ধান্ত হোক, সিদ্ধান্ত গৃহীত হলেই আমরা জানিয়ে দেব।”

এখনই শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়ার পক্ষপাতি নন দীপু মনি।

তিনি বলেন, “কোনো কোনো দেশ (করোনাভাইরাস) সংক্রমণের হার কমে যাওয়ার পর শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলে দিয়েছিল, তারাও কিন্তু পরে বন্ধ করে দিতে বাধ্য হয়েছে। এই বিপুল সংখ্যক শিক্ষার্থীর জীবন নিয়ে তো ঝুঁকি নিতে পারি না।”

দীপু মনি বলেন, “করোনা পরিস্থিতির মধ্যেও প্রায় সব শিক্ষার্থীদের আমরা শিক্ষার আওতায় রাখতে পেরেছি। ৮-১০ ভাগের কাছে পুরোপুরি পৌঁছাতে পারিনি, অধিকাংশ শিক্ষার্থীকে অনলাইন শিক্ষার মধ্যে আনতে পেরেছি। মাধ্যমিকের পুরোটা টেলিভিশনের মাধ্যমে ক্লাস দেখানো হচ্ছে।

“স্বাস্থ্য ঝুঁকি না কমলে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলা হবে না। তবে সকলেই সঠিকভাবে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চললে আমরা খুব দ্রুত কাঙ্ক্ষিত জায়গায় পৌঁছাতে পারব।”

আরও পড়ুন