স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের কালো তালিকাভুক্ত ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান মেসার্স এস কে ট্রেডার্সের স্বত্ত্বাধিকারীর বিরুদ্ধে অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে মামলা হয়েছে।
প্রতিষ্ঠানটির মালিক মো. মনজুর আহমেদকে আসামি করে বুধবার কমিশনের সমন্বিত জেলা কার্যালয় ঢাকা-১ এ দুদকের সহকারী পরিচালক মো. সাইদুজ্জামান মামলাটি করেন বলে সংস্থাটির পরিচালক (জনসংযোগ) প্রণব কুমার ভট্টাচার্য্য জানিয়েছেন।
মামলায় আসামির বিরুদ্ধে অবৈধ উপায়ে জ্ঞাত আয় বহির্ভূত চার কোটি ৫০ লাখ ৮০ হাজার ৯৬৯ টাকার সম্পদ অর্জন এবং ৮৫ লাখ ৪৬ হাজার ৯৭৫ টাকার সম্পদের তথ্য গোপন করার অভিযোগ আনা হয়েছে।
দুর্নীতি দমন কমিশন আইন ২০০৪ এর ২৬(২) ও ২৭(১) ধারায় এই মামলা করা হয়।
গত বছরের ২৬ ফেব্রুয়ারি স্বাস্থ্যের ঠিকাদার মো. মনজুর আহমেদকে সম্পদ বিবরণী দাখিল করতে নোটিস দেয় দুদক। এরপর তিনি একই বছরের ২১ মার্চ কমিশনে সম্পদ বিবরণী দাখিল করেন।
এলসির মাধ্যমে ৩৩ কোটি টাকা আত্মসাৎ
আল-আরাফাহ ইসলামী ব্যাংক থেকে মেসার্স ইব্রাহিম টেক্সটাইল মিলস লিমিটেডের নামে এলসি খুলে ৩৩ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে এক মামলায় ব্যাংকটির এক কর্মকর্তাসহ দুইজনকে আসামি করেছে দুদক।
দুদকের উপ-পরিচালক জালাল উদ্দিন আহাম্মদ বুধবার কমিশনের সমন্বিত জেলা কার্যালয় ঢাকা-১ এ মামলাটি করেন।
আসামিরা হলেন- ব্যাংকের সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট মো. শরিফ উদ্দিন প্রামাণিক ও মেসার্স ইব্রাহিম টেক্সটাইল মিলসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এম ফকরুল আলম।
মামলায় অভিযোগ করা হয়, আসামিরা একে অপরের সহযোগিতায় মেসার্স ইব্রাহীম টেক্সটাইল মিলসের নামে অনাদায়ী খেলাপি ঋণ থাকার পরও অসৎ উদ্দেশ্যে সুতা উৎপাদনের জন্য ৩৩ কোটি ২৯ লাখ ৫৩ হাজার ৩৪৫ টাকার সাতটি এলসির মাধ্যমে তুলা আমদানি করেন।
পরে তুলা বিক্রির অর্থ ব্যাংকে জমা না করে আসামিরা আত্মসাৎ করেন বলে মামলায় অভিযোগ করা হয়।
আসামিদের বিরুদ্ধে দণ্ডবিধির ৪০৯/১০৯ ধারা এবং ১৯৪৭ সালের দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫(২) ধারায় অভিযোগ আনা হয়েছে।
তিতাসের দুই কর্মীর বিরুদ্ধে অবৈধ সম্পদ অর্জনের মামলায়
তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশন অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানির দুই কর্মীর বিরুদ্ধে অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে পৃথক দুইটি মামলা করেছে দুদক।
বুধবার দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয় ঢাকা-১ এ কমিশনের উপ-পরিচালক মো. আলী আকবর বাদি হয়ে মামলা দুটি করেন বলে সংস্থাটির জনসংযোগ কর্মকর্তা প্রণব কুমার ভট্টাচার্য্য জানিয়েছেন।
আসামিরা হলেন- তিতাস গ্যাস টিঅ্যান্ডডি কোম্পানির বিলিং শাখার সিনিয়র ডাটা এন্ট্রি অপারেটর মো. হাছানুর রহমান এবং তিতাসের মেট্রো বিক্রয় বিভাগ-৪ এর ইএসএস শাখার সিনিয়র সুপারভাইজার মো. তহুরুল ইসলাম।
হাছানুরের বিরুদ্ধে অভিযোগ, অবৈধ উপায়ে জ্ঞাত আয় বহির্ভূত এক কোটি ৩৩ লাখ ৪০ হাজার ৯০৭ টাকার সম্পদের মালিক হয়েছেন তিনি। এছাড়া তার বিরুদ্ধে সাড়ে ১৩ লাখ টাকার সম্পদের তথ্য গোপনের অভিযোগ আনা হয় মামলায়।
অন্যদিকে তহুরুল ইসলামের বিরুদ্ধে করা মামলায় অভিযোগ করা হয়, তিনি অবৈধ উপায়ে জ্ঞাত আয় বহির্ভূত এক কোটি ৭১ লাখ ৭২ হাজার ৮৮২ টাকার সম্পদের মালিক হয়েছেন। এছাড়া তার বিরুদ্ধে ৬০ লাখ ৩৫ হাজার ১৫৪ টাকার সম্পদের তথ্য গোপনের অভিযোগ আনা হয়েছে।