পাপিয়ার অস্ত্র মামলায় অভিযোগ গঠনের শুনানি ২৩ অগাস্ট

যুব মহিলা লীগের বহিষ্কৃত নেত্রী শামীমা নূর পাপিয়া এবং তার স্বামী মফিজুর রহমান ওরফে সুমন চৌধুরী ওরফে মতি সুমনের বিরুদ্ধে অস্ত্র আইনের মামলায় অভিযোগ গঠনের শুনানির জন্য ২৩ অগাস্ট দিন রেখেছে আদালত।

আদালত প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 18 August 2020, 09:08 AM
Updated : 18 August 2020, 09:08 AM

মঙ্গলবার ঢাকা মহানগরের এক নম্বর বিশেষ ট্রাইবুনালের বিচারক কে এম ইমরুল কায়েশ অভিযোগ গঠনের শুনানির জন্য এ তারিখ ঠিক করে দেন।

এ ট্রাইবুনালে রাষ্ট্রপক্ষের অতিরিক্ত কৌঁসুলি তাপস পাল বলেন, অভিযোগ পড়ে শুনিয়ে সেদিন পাপিয়া ও সুমনকে জিজ্ঞেস করা হবে তারা দোষী না নির্দোষ। মামলা থেকে অব্যাহতির আবেদনও তারা সেদিন করতে পারবেন।

দুই আসামির বিরুদ্ধে এ মামলায় বিচার শুরু হবে কি না, সেই সিদ্ধান্ত সেদিন শুনানি শেষে দেবেন বিশেষ ট্রাইবুনালের বিচারক।

নরসিংদী জেলা যুব মহিলা লীগের সাধারণ সম্পাদক শামীমা নূর পাপিয়া ও তার স্বামী মফিজুর রহমানকে গত ২২ ফেব্রুয়ারি ঢাকার শাহজালাল বিমানবন্দর থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।

সে সময় তাদের কাছ থেকে সাতটি পাসপোর্ট, দুই লাখ ১২ হাজার ২৭০ টাকা, ২৫ হাজার ৬০০ টাকার জাল নোট, ১১ হাজার ৪৮১ ডলার, শ্রীলঙ্কা ও ভারতের কিছু মুদ্রা এবং দুটি ডেবিট কার্ড জব্দ করা হয়।

পরে পাপিয়ার ফার্মগেইটের ফ্ল্যাটে অভিযান চালিয়ে সেখান থেকে একটি বিদেশি পিস্তল, দুটি ম্যাগাজিন, ২০টি গুলি, পাঁচ বোতল বিদেশি মদ, ৫৮ লাখ ৪১ হাজার টাকা এবং বিভিন্ন ব্যাংকের ক্রেডিট ও ডেবিট কার্ড উদ্ধারের কথা জানায় র‌্যাব। অভিযান চালানো হয় পাপিয়ার নরসিংদীর বাড়িতেও ।

গ্রেপ্তারের পর আদালতে শামীমা নূর পাপিয়া

র‌্যাবের পক্ষ থেকে সে সময় বলা হয়, পাপিয়া গুলশানের ওয়েস্টিন হোটেল ভাড়া নিয়ে ‘অসামাজিক কার্যকলাপ’ চালিয়ে যে আয় করতেন, তা দিয়ে হোটেলে বিল দিতেন কোটির টাকার উপরে।

গ্রেপ্তারের পর পাপিয়া ও তার স্বামীর বিরুদ্ধে শেরেবাংলা নগর থানায় অস্ত্র ও মাদক আইনে দুটি মামলা করে র‌্যাব। বিমানবন্দর থানায়ও তাদের বিরুদ্ধে বিশেষ ক্ষমতা আইন-১৯৭৪ এর অধীনে একটি মামলা দায়ের করা হয়। আর মুদ্রা পাচার প্রতিরোধ আইনে সিআইডি আরেকটি মামলা করে। এরপর দুদকও পাপিয়ার অবৈধ সম্পদের অনুসন্ধানে নামে।

এর মধ্যে শেরে বাংলা নগর থানার অস্ত্র ও মাদক আইনের মামলায় গত ২৯ জুন আদালতে অভিযোগপত্র দেন র‌্যাবে দায়িত্বরত উপ-পরিদর্শক আরিফুজ্জামান।

সেখানে বলা হয়, “আসামিদের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগগুলো প্রাথমিকভাবে প্রমাণিত হয়েছে এবং তাদের বিরুদ্ধে বিচার শুরু করা হোক।”