সোমবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে সরকারের সাবেক এই জ্যেষ্ঠ সচিবকে এ পদে নিয়োগের কথা জানানো হয়।
এর আগে জুলাই মাসে মোশাররফকে যোগদানের তারিখ থেকে দুই বছরের জন্য রাষ্ট্রদূত পদে চুক্তিতে নিয়োগ দিয়ে আদেশ জারি করেছিল জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়।
২০১০ সালের ৩ ফেব্রুয়ারি সেতু বিভাগের ভারপ্রাপ্ত সচিবের দায়িত্ব পাওয়ার পর ওই বছর ২৯ জুলাই পদোন্নতি পেয়ে সচিব হন মোশাররফ।
পদ্মা সেতু প্রকল্পে দুর্নীতির ষড়যন্ত্রের অভিযোগ উঠলে সে সময় দুর্নীতি দমন কমিশন মামলা করে। তাতে প্রধান আসামি করা হয়েছিল মোশাররফকে।
মামলা ও গ্রেপ্তার হওয়ার পর তাকে সাময়িক বরখাস্ত করেছিল সরকার। তবে জামিনে মুক্ত হওয়ার পর চাকরি ফিরে পান তিনি। দুদক ‘অভিযোগের সত্যতা পাওয়া যায়নি’ জানিয়ে প্রতিবেদন দিলে ওই মামলা বাতিল হয়ে যায়।
চাকরিতে ফেরার পর মোশাররফ বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষের (বেজা) নির্বাহী চেয়ারম্যান এবং প্রাইভেটাইজেশন কমিশনের সদস্যের দায়িত্ব পালন করেন।
২০১৬ সালের ৩০ জুন অবসরোত্তর ছুটিতে (পিআরএল) যাওয়ার কথা ছিল মোশাররফের। এর একদিন আগে ২৯ জুন তার পিআরএল বাতিল করে এক বছরের চুক্তিতে তাকে শিল্প মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ সচিবের দায়িত্বে রেখে দেয় সরকার।
এরপর দুই বছরের চুক্তিতে এনবিআরের চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করেন মোশাররফ হোসেন ভূঁইয়া।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগ থেকে স্নাতকোত্তর করা মোশাররফ যুক্তরাষ্ট্রের ম্যাসাচুসেটসের উইলিয়াম কলেজ থেকে উন্নয়ন অধ্যয়নে আরও একটি স্নাতকোত্তর ডিগ্রি নিয়েছেন।