বিমানবন্দর থানায় দায়ের করা বিশেষ ক্ষমতা আইনের মামলায় রিমান্ড শেষে শুক্রবার এই দম্পতিকে কারাগারে পাঠান ঢাকার একজন মহানগর হাকিম। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা র্যাব-১ এর সহকারী পুলিশ সুপার মো. সালাউদ্দিন রিমান্ড শেষ হওয়ায় দুই আসামিকে আদালতে হাজির করে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন।
গত ২২ ফেব্রুয়ারি ঢাকার শাহজালাল বিমানবন্দর এলাকা থেকে পাপিয়া, তার স্বামী সুমন এবং তাদের দুই সহযোগী সাব্বির খন্দকার ও শেখ তায়্যিবাকে গ্রেপ্তার করে র্যাব। সে সময় তাদের কাছ থেকে সাতটি পাসপোর্ট, ২ লাখ ১২ হাজার ২৭০ টাকা, ২৫ হাজার ৬০০ টাকার জাল নোট, ৩১০ ভারতীয় রুপি, ৪২০ শ্রীলঙ্কান রুপি ও সাতটি মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়।
র্যাবের পক্ষ থেকে বলা হয়, অত্যন্ত বিলাসবহুল জীবনযাপনে অভ্যস্ত পাপিয়া গুলশানের ওয়েস্টিন হোটেলের ‘প্রেসিডেনশিয়াল স্যুইট’ ভাড়া নিয়ে ‘অসামাজিক কার্যকলাপ’ চালিয়ে যে আয় করতেন, তা দিয়ে হোটেলে বিল দিতেন কোটির টাকার উপরে।
এরপরে ১১ মার্চ বিমানবন্দর থানায় দায়ের করা বিশেষ ক্ষমতা এই আইনের মামলায় পাপিয়া ও তার স্বামীর ৫ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করে আদালত। ওই দিন শেরেবাংলা নগর থানার অস্ত্র ও বিশেষ ক্ষমতা আইনের মামলায়ও ৫ দিন করে ১০ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করা হয়। কিন্তু করোনাভাইরাসের কারণে তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা যায়নি বলে র্যাবের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে।
এদিন রাষ্ট্রপক্ষে সংশ্লিষ্ট আদালত পুলিশের সাধারণ নিবন্ধন কমকর্তা মাহমুদুর রহমান অসুস্থ থাকায় তার জায়গায় এসআই আশ্রাব আলী শুনানির সময় আদালতে উপস্থিত ছিলেন। তিনিই আবেদনটি শুনানি করেন।
আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকা মহানগর বিচারিক হাকিম মাসুদ-উর-রহমান আলোচিত এই দম্পতিকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।