বিমানবন্দর সড়ক মেরামতে সিডিএকে ২০ অগাস্ট পর্যন্ত সময়

নগরীর বিমানবন্দর সড়কের গর্ত ভরাট করতে প্রকল্প বাস্তবায়নকারী সংস্থা সিডিএকে ২০ অগাস্ট পর্যন্ত সময় দিয়েছেন সিটি করপোরেশনের প্রশাসক খোরশেদ আলম সুজন।

চট্টগ্রাম ব্যুরোবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 12 August 2020, 02:39 PM
Updated : 12 August 2020, 02:39 PM

বুধবার দুপুরে বিমানবন্দর সড়কের ইপিজেড মোড় থেকে সিমেন্ট ক্রসিং পর্যন্ত অংশ পরিদর্শন করে ২০ অগাস্টের মধ্যে কার্পেটিং করে যান চলাচল উপযোগী করার নির্দেশনা দেন।

প্রায় তিন হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে টাইগার পাস থেকে বিমানবন্দর পর্যন্ত ১৬ কিলোমিটার দীর্ঘ চার লেনের এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে নির্মাণের প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করছে চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ-সিডিএ। সিমেন্ট ক্রসিং সংলগ্ন অংশে বর্তমানে কাজ চলছে।

প্রশাসক খোরশেদ আলম সুজন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, এলিভেটেড এক্সপ্রেস ওয়ে আর বিমানবন্দর সড়ক উন্নয়নের কাজ সিডিএ করছে। আবার ওয়াসার পাইপ লাইনের কারণে সেখানে ড্রেনের পানি সরতে পারছে না।

“ফলে পানি রাস্তায় জমে থাকছে। এর কারণে রাস্তায় বড় বড় গর্ত হয়ে গেছে। খানাখন্দের কারণে গাড়ি চলাচল ও মানুষের ভোগান্তি চরমে পৌঁছেছে। তাদের বলেছি ২০ অগাস্টের মধ্যে গর্ত ভরাট করতে (প্যাচওয়ার্কের মাধ্যমে সংস্কার করে কার্পেটিং)। আর ওয়াসাকে বলেছি তাদের পাইপ সরাতে।”

পরিদর্শনের সময়েই সংস্থা দুটির প্রতিনিধিদের সাথে কথা হয়েছে জানিয়ে সুজন বলেন, তারা বলেছেন সময়ের মধ্যেই করে দেবেন।

পরিদর্শনের সময় প্রশাসক সুজন বলেন, “চট্টগ্রামের উন্নয়নে আমরা যারা কাজ করছি তাদের মধ্যে সমন্বয় না হলে উন্নয়ন কার্যক্রমে কোনো সফলতা আসবে না। জনদুর্ভোগ লাঘবে রাস্তাঘাট তৈরি করা হয়, তাই কাজের ক্ষেত্রে জনদুর্ভোগ যাতে বেড়ে না যায় সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে।

“এয়ারপোর্ট সড়ক হচ্ছে নগরের প্রবেশদ্বার। এখান থেকেই দেশি ও বিদেশি অতিথিরা চট্টগ্রাম সম্পর্কে ধারণা নেবে। তাই শুধুমাত্র সমন্বয়হীনতার অভাবে এই সড়কে জনদুর্ভোগ মেনে নেওয়া যায় না।”

পিসি রোডে উচ্ছেদ শুরু

পোর্ট কানেক্টিং রোডের অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদে শুরু হয়েছে অভিযান

মঙ্গলবার পিসি রোডের সাগরিকা থেকে নয়াবাজার অংশে সড়কের পাশে, ফুটপাতে ও নালার উপর থাকা স্থাপনা সরিয়ে নিতে ২৪ ঘণ্টার সময় বেঁধে দিয়েছিলেন সুজন।

সেই সময়সীমা পেরিয়ে গেলে বুধবার সিসিসির স্পেশাল ম্যাজিস্ট্রেট (যুগ্ম জেলা ও দায়রা জজ) জাহানার ফেরদৌস এবং নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মারুফা বেগম নেলীর নেতৃত্বে অভিযান চালানো হয়।

এসময় সাগরিকা মোড়ে অবৈধভাবে গড়ে উঠা প্রায় ২০টি কাঁচা-পাকা দোকান ভেঙ্গে দেয় ভ্রাম্যমাণ আদালত।

হোটেল, সিমেন্টর দোকান, টিকেট কাউন্টার, গাড়ীর গ্যারেজসহ অন্যান্য দোকানপাট সরিয়ে প্রায় ১৫ গণ্ডা জায়গা উদ্ধার করা হয়।

একই অভিযানে সাগারিকা মোড় থেকে নয়াবাজার এলাকা পর্যন্ত রাস্তার উভয় পাশের ড্রেনের ওপর স্তুপ করে রাখা মালামাল সরিয়ে দখলমুক্ত করা হয়।

এ বিষয়ে সুজন বলেন, অবৈধ দখলদারদের বিরুদ্ধে অভিযান চলতে থাকবে।

মেনন হাসপাতালের হারানো গৌরব ফেরানোর ঘোষণা

প্রয়াত মেয়র মহিউদ্দিন চৌধুরীর আমলে প্রতিষ্ঠিত মেনন মাতৃসদন হাসপাতালের হারানো গৌরব ও অর্জন ফেরানোর ঘোষণা দিয়েছেন প্রশাসক সুজন।

বুধবার হাসপাতালটি পরিদর্শনে গিয়ে প্রশাসক সুজন বলেন, “এ হাসপাতালকে নবরূপে সজ্জিত ও আধুনিকায়ন করে আগের ঐতিহ্য ফিরিয়ে আনতে হবে। চিকিৎসার পরিবেশ ফিরিয়ে আনতে প্রথমে যে কাজটি করতে হবে তা হলো সেবাদান।

“সিসিসির মূল কাজ নগর আলোকায়ন ও পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা। এর বাইরে গিয়ে সিটি করপোরেশন শিক্ষা ও স্বাস্থ্যসেবা পরিচালনা করে আসছে। এ উদ্যোগ নিয়েছেন আমাদের পূর্বসূরীরা। প্রয়াত সাবেক মেয়র আলহাজ এবিএম মহিউদ্দিন চৌধুরী নগরবাসীর স্বাস্থ্য সেবার কথা চিন্তা করে এই বিশাল কর্মযজ্ঞ করে গিয়েছিলেন।”

তিনি বলেন, “কিন্তু কালে কালে এই হাসপাতালের সুনাম ও অর্জন ভুলুন্ঠিত হয়েছে। এখন সময় এসেছে তার আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে সেবার মানসিকতায় মেনন মাতৃসদন হাসপাতালের হারানো গৌরব পুনরুদ্ধারের।”

দরিদ্র ও সুবিধাবঞ্চিত নগরবাসীর চিকিৎসাসেবায় চিকিৎসকদের শতভাগ আন্তরিকতার সাথে কাজ করার আহ্বান জানান তিনি।