মঙ্গলবার রাজধানীর বিমানবন্দর সড়কের কাওলায় ইউ টার্ন নির্মাণকাজের অগ্রগতি দেখতে এসে মেয়র বলেন, প্রয়াত মেয়র আনিসুল হকের নেওয়া এ প্রকল্প নানা কারণে স্থবির হয়ে পড়েছিল। নির্বাচনী অঙ্গীকারের অংশ হিসেবেই এই প্রকল্পে গতি আনার চেষ্টা করছেন তিনি।
“আনিস ভাইয়ের মৃত্যুতে কাজটি থমকে গিয়েছিল। আনিস ভাইয়ের যেসব প্রকল্প বাস্তবায়ন হয়নি সেগুলো আমি বাস্তবায়ন করব।
“আমি যখন আসলাম তখন দেখলাম এই প্রকল্পের ফাইল ঘুমিয়ে পড়েছে। এই ফাইল নাড়াতে গিয়ে দেখলাম এখানে সড়ক ও জনপথ বিভাগের জমিসহ বেশকিছু বাধা আছে। সবার সঙ্গে সমন্বয় করে আমরা আবার কাজ শুরু করলাম। আমরা সর্বাত্মক চেষ্টা করছি এ বছরের ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে পুরো ১০টি ইউটার্নের কাজ শেষ করতে।”
“এই কাজটি শেষ করতে পারলে জনগণ অনেক উপকৃত হবে। এর প্রমাণ আপনারা পেয়েছেন উত্তরায় রাজলক্ষ্মীর সামনে এবং জসিম উদ্দিন মোড়ে। ভালো কাজগুলো কোনোভাবেই বন্ধ রাখা যাবে না।”
এ প্রকল্পে ব্যয় হচ্ছে ৩১ কোটি টাকা। প্রকল্পের ব্যয় সরকারের তহবিল থেকে মেটানো হবে।
এ সময় ডিএনসিসির প্রধান নিবার্হী কর্মকর্তা মো. আব্দুল হাই, প্রধান প্রকৌশলী ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আমিরুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন।
রাজধানীর যানজট কমাতে সাতরাস্তা, কোহিনূর কেমিকেল মোড়, মহাখালী বাস টার্মিনাল, মহাখালী ফ্লাইওভার, বনানী চেয়ারম্যানবাড়ি, বনানী কবরস্থান, বনানী ওভারপাস, কাওলা, উত্তরার র্যাব-১ অফিসের সামনের সড়ক এবং জসিম উদ্দিন সড়কের সামনেসহ মোট ১১টি ইউ টার্ন নির্মাণের উদ্যোগ নেওয়া হলেও শেওড়া বাসস্ট্যান্ডের ইউটার্নটি হচ্ছে না।
ইউ টার্ন নির্মাণের জন্য ২০১৭ সালের ২৯ অক্টোবর এসএম কনস্ট্রাকশনস নামের একটি ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানকে কার্যাদেশ দেয় ডিএনসিসি। কিন্তু জমি অধিগ্রহণসহ কয়েকটি জটিলতায় নির্মাণকাজ থমকে ছিল।