মাস্ক পরা নিশ্চিত করতে ভ্রাম্যমাণ আদালত

করোনাভাইরাস মহামারীর মধ্যে বাসার বাইরে সবার মাস্ক পরা নিশ্চিত করতে মাঠ প্রশাসনকে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করার নির্দেশ দিয়েছে সরকার।

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 10 August 2020, 09:43 AM
Updated : 10 August 2020, 09:44 AM

সচিবালয়ে সোমবার মন্ত্রিসভার বৈঠকের সিদ্ধান্ত জানানোর সময় সাংবাদিকদের প্রশ্নে মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম এ তথ্য জানান।

তিনি বলেন, “মন্ত্রিসভায় জেনারেল আলোচনা হয়েছে যে, মানুষকে অন্তত সচেতন থাকতে হবে। এর মধ্যে দেখা গেছে যে অনেক মানুষের মধ্যে সচেতনতাটা একটু কমে গেছে, সেটা আরও বৃদ্ধি করতে হবে।”

করোনাভাইরাসের সংক্রমণ এড়াতে সচেতন থাকার ওপর গুরুত্বারোপ করে আনোয়ারুল বলেন, “এগুলো ক্যাম্পেইনে নিয়ে আসা এবং যথাসম্ভব যদি কোনো কোনো ক্ষেত্রে যদি মোবাইল কোর্ট করা যায়…।”

এসব বিষয় নিয়ে রোববার সচিব কমিটিতে আলাপ-আলোচনা করে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে জানিয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, “মাঠ প্রশাসনকেও বলে দিয়েছি যে, এনফোর্সমেন্টে যেতে হবে।”

করোনাভাইরাস মহামারীর এই সময়ে হাতিরঝিলে কেউ বসে গল্পে মেতেছে, কেউবা তুলছে ছবি। অনেকেরই মুখে নেই মাস্ক। ছবি: মাহমুদ জামান অভি

করোনাভাইরাস মহামারীর মধ্যে বাসার বাইরে সব জায়গায় সবার মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক করেছে সরকার। এরপরেও নানান অযুহাতে অনেক মানুষ এখনও মাস্ক ব্যবহার করছেন না।

ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনার পক্ষে যুক্তি দিয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, একেবারে ম্যাসিভ কোনো ক্ষেত্রে মোবাইল কোর্ট করে যদি পানিশমেন্ট দেওয়া হয়, এই জিনিসটা প্রচার করার জন্য যে আজকে মাস্ক না পরার জন্য বা সেইফটি মেজার্স না নেওয়ার জন্য এতোগুলো লোককে বাসে বা বাজারে বা লঞ্চে পানিশমেন্ট দেওয়া হয়েছে।

“এগুলো যদি প্রচারে যায়, তাহলে মানুষও…। মাস্ক পকেটে থাকে, কিন্তু মানুষ পরে না।”

সবাই যাতে মাস্ক ব্যবহার করে, সে বিষয়ে সরকারের পক্ষ থেকে আরও প্রচার চালানো হবে বলে জানান মন্ত্রিপরিষদ সচিব।

তিনি বলন, “বিশেষ করে তথ্য মন্ত্রণালয়কে আরও ম্যাসিভ প্রচারের জন্য বলা হয়েছে। ফিজিক্যালি মাঠে গিয়ে মাইক দিয়ে, বিলবোর্ড দিয়ে যাতে মানুষ আরেকটু সতর্ক হয়।... রেডিও, টেলিভিশন সব জায়গায়… তথ্য মন্ত্রণালয়কে বিশেষভাবে বলা হয়েছে। সচিব কমিটির মিটিংয়ে খুব স্ট্রংলি রেকমেন্ড করেছি।”

সোমবার সকাল ৮টা পর্যন্ত বাংলাদেশে করোনাভাইরাসে মোট আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২ লাখ ৬০ হাজার ৫০৭ জন। এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে এ পর্যন্ত ৩ হাজার ৪৩৮ জনের মৃত্যুর তথ্য দিয়েছে সরকার।