রোববার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে করোনাভাইরাস মহামারী মোকাবেলায় শুরু থেকে কাজ করে আসা এই বেসরকারি সংস্থা।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বুথগুলো ব্র্যাকের নিজস্ব অর্থায়নে পরিচালিত হচ্ছে। কিন্তু তহবিল সংকটের কারণে রাজধানীর ৪০টি বুথ ৩১ অেগাস্টের পর থেকে আর চালানো সম্ভব হবে না বলে ঈদের আগে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালককে লিখিতভাবে জানিয়েছিল ব্র্যাক।
“একই সময়ে ব্র্যাক তার দাতা সংস্থা এবং অংশীজনদের সাথে এই ব্যাপারে তহবিল সংগ্রহের জন্য যোগযোগ করে যাচ্ছিল। অতি সম্প্রতি ব্র্যাক গ্লোবাল ফান্ডের কাছ থেকে একটি তহবিল পেয়েছে, যা সংস্থাটিকে আগামী ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত রাজধানীর বুথগুলো চালিয়ে যেতে সহায়তা করবে।”
ভাইরাস সংক্রমণে ঝুঁকিপূর্ণ এলাকাগুলোতে নমুনা পরীক্ষার জন্য গত ছয় মাস ধরে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরকে সহায়তা করতে সারা দেশে ৯৭টি বুথ পরিচালনা করছে ব্র্যাক।
৮ অগাস্ট বিভিন্ন পত্রিকায় খবর এসেছে রাজধানীতে কোভিড-১৯ এর নমুনা পরীক্ষার জন্য ব্র্যাকের স্থাপন করা ৩৮টি বুথ বন্ধ হয়ে যাচ্ছে।
ওই খবরের উৎস ব্যাখ্যা করে রোববারের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, খবরটি ছাপা হয় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরকে লেখা ব্র্যাকের একটি চিঠির ভিত্তিতে, যেখানে সংস্থাটি জানিয়েছিল ৩১ অগাস্টের পর এই বুথগুলো চালু রাখা তাদের পক্ষে সম্ভব হবে না।
তহবিল প্রাপ্তি পরবর্তী পরিস্থিতির বিবরণ আরেকটি চিঠি মারফত স্বাস্থ্য অধিদপ্তরকে জানানোর সিদ্ধান্ত নেওয়ার কথা জানিয়ে ব্র্যাক বলছে, এই চিঠি পাঠানোর আগেই সংবাদটি প্রকাশ হয়েছে।
বুথ চালুর পাশাপাশি মহামারীকালে ‘সর্বোচ্চ সক্ষমতা কাজে লাগিয়ে’ এবং দাতা ও অংশীজনদের সহায়তায় ভূমিকা পালনের অঙ্গীকারের কথাও সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করেছে ব্র্যাক।