এক শোকবার্তায় শেখ হাসিনা দেশের সংগীত জগতে আলাউদ্দিন আলীর অবদান শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করেন বলে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে জানানো হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী মরহুমের আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন এবং তার শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।
মহাখালীর ইউনিভার্সেল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রোববার সন্ধ্যা পৌনে ৬টার দিকে আলাউদ্দিন আলী মারা যান।
আলাউদ্দিন আলী ক্যান্সারের পাশাপাশি নিউমোনিয়া ও রক্তের ইনফেকশনে ভুগছিলেন। ২০১৫ সালের জুলাই মাসে ব্যাংককে নিয়ে পরীক্ষা করা হলে আলাউদ্দিন আলীর ফুসফুসে একটি টিউমার ধরা পড়ে। পরে তা ক্যান্সারে মোড় নেয়।
এরপর থেকে অন্যান্য শারীরিক সমস্যার পাশাপাশি তার ক্যানসারের চিকিৎসা চলছিল। দীর্ঘদিন ধরেই শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যায় ভুগতে হচ্ছিল তাকে।
৬৮ বছর বয়সী এই সুরস্রষ্টার শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে শনিবার ভোরে তাকে ইউনিভার্সেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে তাকে রাখা হয়েছিল লাইফ সাপোর্টে।
‘একবার যদি কেউ ভালোবাসতো’, ‘যে ছিল দৃষ্টির সীমানায়’, ‘প্রথম বাংলাদেশ- আমার শেষ বাংলাদেশ’, ‘ভালোবাসা যতো বড়ো জীবন তত বড় নয়’, ‘দুঃখ ভালোবেসে প্রেমের খেলা খেলতে হয়’, ‘হয় যদি বদনাম হোক আরো’, ‘আছেন আমার মোক্তার আছেন আমার ব্যারিস্টার’, ‘সুখে থাকো ও আমার নন্দিনী’- সহ কালজয়ী অসংখ্য গানে পেছনের কারিগর আলাউদ্দিন আলী।