রোববার শাহজালাল বিমানবন্দরের তৃতীয় টার্মিনাল নির্মাণ কাজের অগ্রগতি এবং অভ্যন্তরীণ টার্মিনালের নবনির্মিত ভবন পরিদর্শন করেন তিনি।
২০১৯ সালের ২৮ ডিসেম্বর প্রধানমন্ত্রী তৃতীয় টার্মিনাল নির্মাণ কাজ উদ্বোধন করেন।
মাহবুব জানান, তৃতীয় টার্মিনাল নির্মাণে ভূমি উন্নয়ন কাজ সম্পন্ন করার পর বর্তমানে পাইলিংয়ের কাজ চলছে। মোট কাজের ৬.৪ শতাংশ সম্পন্ন হয়েছে।
কাজের এ অগ্রগতিতে সন্তোষ জানিয়ে তিনি বলেন, “কোভিড-১৯ এর কারণে তৃতীয় টার্মিনাল নির্মাণ কাজ একদিনের জন্যও বন্ধ ছিল না। যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করে কাজ চলমান রয়েছে।
“আমরা আশা করি নির্মাণ কাজ সমাপ্তির জন্য নির্ধারিত জুন-২০২৩ এর মধ্যেই তৃতীয় টার্মিনালের নির্মাণ কাজ সম্পন্ন করে তা যাত্রীদের ব্যবহারের জন্য উন্মুক্ত করা সম্ভব হবে।”
সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মাহবুব বলেন, তৃতীয় টার্মিনালের বিদ্যমান নকশায় কোনো পরিবর্তন করা হচ্ছে না। নির্মাণ স্থানের মাটির অবস্থার কারণে স্ক্রুড পাইলিংয়ের পরিবর্তে বোর পাইলিংয় করা হচ্ছে। এর কারণে প্রকল্প ব্যয় বাড়বে না, বরং ৭৫০ কোটি টাকা সাশ্রয় হবে।
সাশ্রয় হওয়া টাকা দিয়ে তৃতীয় টার্মিনালে অতিরিক্ত কয়েকটি বোর্ডিং ব্রিজ ও একটি ভিভিআইপি টার্মিনাল কমপ্লেক্স নির্মাণের পরিকল্পনা করা হচ্ছে বলে জানান তিনি।
পরিদর্শনের সময় প্রতিমন্ত্রীর সঙ্গে ছিলেন বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ সচিব মো. মহিবুল হক ও বাংলাদেশ বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান মো. মফিদুর রহমান।
প্রতিমন্ত্রী মাহবুব বলেন, সিলেট এমএজি ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ও চট্টগ্রামের শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের উন্নয়ন কাজও চলমান। কক্সবাজার ও সৈয়দপুর বিমানবন্দরকে আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে উন্নীত করার কাজ চলছে।