বৃহস্পতিবার কমিশনের সচিব তপন কুমার সাহা স্বাক্ষরিত এক প্রতিবাদপত্রে বলা হয়েছে, “বাংলাদেশ পরমাণু শক্তি কমিশন তার কোনো কর্মকর্তাকে করোনা সংশ্লিষ্ট প্রণোদনা হিসেবে কোনো প্রকার টাকা প্রদান করেনি।
“উক্ত খবরে বাংলাদেশ পরমাণু শক্তি কমিশনের সদস্য (পরিকল্পনা) মো. আজিজুল হকের বরাত দিয়ে যে খবর প্রকাশিত হয়েছে তা অসত্য এবং তার নিজস্ব মনগড়া বক্তব্য। মো. আজিজুল হক বাংলাদেশ পরমাণু শক্তি কমিশনের অফিসিয়াল মুখপাত্র নন। বাংলাদেশ পরমাণু শক্তি কমিশন এ ধরনের ভিত্তিহীন খবরের তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছে।”
‘প্রণোদনার অর্থ ফেরত নিচ্ছে পরমাণু শক্তি নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ’ শিরোনামে প্রকাশিত আরেকটি সংবাদ নিয়ে কমিশন বলছে, “…যেহেতু কমিশনের কোনো কর্মকর্তাকে কোভিড-১৯ প্রণোদনা হিসেবে কোনো টাকাই প্রদান করা হয়নি সেহেতু তা ফেরত চাওয়ার প্রশ্নই আসে না।”
প্রতিবেদনটি প্রকাশের আগে পরমাণু শক্তি কমিশনের চেয়ারম্যান অধ্যাপক মো. সানোয়ার হোসেনের সঙ্গে কথা বলা হলে বিভ্রান্তি এড়ানো যেত, বলা হয়েছে বিজ্ঞপ্তিতে।
প্রতিবেদকের বক্তব্য
বৃহস্পতিবার বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমে প্রকাশিত ‘কোভিড-১৯ সেবায় না থাকলেও প্রণোদনা দিল দুই প্রতিষ্ঠান’ শীর্ষক প্রতিবেদনে পরমাণু শক্তি কমিশন এবং পরমাণু শক্তি নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষে কর্মকর্তাদের প্রণোদনা দেওয়ার বিষয়টি উল্লেখ করা হয়।
এক্ষেত্রে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম তথ্য পাওয়ার পর সাংবাদিকতার রীতি অনুসরণ করে তা যাচাই করার পরই সংবাদটি প্রকাশ করেছে।
পরমাণু শক্তি কমিশন ও পরমাণু শক্তি নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষের কর্মকর্তাদের ‘অবৈধভাবে’ প্রণোদনা দেওয়া হয়েছে উল্লেখ করে এই দুটি প্রতিষ্ঠানের কর্মচারীরা ইতোমধ্যে দুর্নীতি দমন কমিশনে একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছে।
তার ভিত্তিতে যোগাযোগ করা হলে বাংলাদেশ পরমাণু শক্তি কমিশনের বিভিন্ন কর্মকর্তা তা স্বীকার করেন।
এই সংবাদ প্রকাশের আগে পরমাণু শক্তি কমিশনের চেয়ারম্যানকে বুধবার কয়েকবার ফোন করা হলেও তিনি বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম প্রতিবেদকের কল ধরেননি।
এরপর পরমাণু শক্তি কমিশনের সদস্য (পরিকল্পনা) মো. আজিজুল হক বিষয়টি স্বীকার করলে প্রতিবেদনটি প্রকাশ করা হয়।
ওই প্রতিবেদনের ফলোআপ হিসেবে যে আরেকটি প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়েছে, সেখানে পরমাণু শক্তি কমিশন প্রণোদনার টাকা ফেরত চেয়েছে বলে কোনো কথা বলা হয়নি।
পরের প্রতিবেদনে পরমাণু শক্তি নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান মো. মোজাম্মেল হকের বরাতে বলা হয়েছে, প্রণোদনা হিসেবে দেওয়া অর্থ ফেরত দিতে তার প্রতিষ্ঠানের সংশ্লিষ্টদের নির্দেশনা দিয়েছেন তিনি।
ওই সংবাদ প্রতিবেদনে প্রসঙ্গক্রমে পরমাণু শক্তি কমিশনের কর্মকর্তাদেরও প্রণোদনা দেওয়ার বিষয়টি এসেছিল।