বৃহস্পতিবার ঢাকা মহানগর হাকিম মোর্শেদ আল মামুন ভূঁইয়ার আদালতে মিজানুরের পক্ষে জামিন আবেদন করেন তার আইনজীবী।
কিন্তু শুনানির জন্য ডাক পড়লে তার কোনো আইনজীবী এজলাসে হাজির হননি বলে রাষ্ট্রপক্ষে আদালত পুলিশের সাধারণ নিবন্ধন কার্যালয়ের এএসআই নূরুল ইসলাম জানিয়েছেন।
গত ২৪ জুলাই গোপালগঞ্জের একটি বাসা থেকে মিজানুরকে গ্রেপ্তার করে উত্তরা পশ্চিম থানা পুলিশ। পরদিন আদালত তার ১০ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করে।
রিমান্ড শেষে ৫ অগাস্ট মিজানুর দোষ স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি দেন। এরপর তাকে কারাগারে পাঠানো হয়।
রিজেন্ট হাসপাতালের জালিয়াতির ঘটনা প্রকাশের পর গত ২০ জুলাই উত্তরা পশ্চিম থানায় মেট্রো রেলের একটি সাব-কন্ট্রাক্টর প্রতিষ্ঠানের পক্ষে রেজাউল করীম বাদী হয়ে এই মামলা করেন।
তার আগেই গ্রেপ্তার রিজেন্ট হাসপাতালের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ সাহেদকেও মামলায় আসামি করা হয়।
মামলায় অভিযোগে বলা হয়, মেট্রোরেলে কর্মরত ৭৬ জন কর্মীর করোনাভাইরাস পরীক্ষার জন্য নমুনা সংগ্রহ করে রিজেন্ট হাসপাতাল। এজন্য মাথাপিছু সাড়ে ৩ হাজার টাকা নেওয়া হয়। কিন্তু পরীক্ষা না করেই করোনাভাইরাস ‘নেগেটিভ’ প্রতিবেদন দেওয়া হয়। এর ফলে কর্মীদের মধ্যে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ বেড়েছে।