বৃহস্পতিবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ সহায়তা পাঠানোর সিদ্ধান্তের কথা জানানো হয়।
সেখানে বলা হয়, বিস্ফোরণের প্রেক্ষাপটে বুধবার লেবাননের পররাষ্ট্রমন্ত্রী সারবেল ওয়েহবিকে ফোন করে সহায়তা পাঠানোর বিষয়টি বলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন।
বিস্ফোরণে হতাহতের ঘটনায়’সহানুভূতি প্রকাশ’ করতে ওয়েহবিকে টেলিফোন করেন বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
মোমেন তাকে বলেন, প্রয়োজনে জরুরি ভিত্তিতে লেবাননকে যে কোনো সহায়তা দিতে প্রস্তুত রয়েছে বাংলাদেশ।
বিস্ফোরণে আহত বাংলাদেশিদের চিকিৎসাসহ সার্বিক সহযোগিতার জন্য লেবানন সরকারের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৬টার দিকে বৈরুতের বন্দর এলাকায় বিস্ফোরক দ্রব্যের গুদামে ওই ভয়াবহ বিস্ফোরণে বড় একটি এলাকা ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়। নিহত হন ৪ বাংলাদেশিসহ অন্তত ১৩৫ জন।
এতে আহত হয়েছেন শান্তিরক্ষী মিশনে থাকা বাংলাদেশ নৌবাহিনীর ২১ সদস্যসহ ৯৯ জন বাংলাদেশি। বৈরুত বন্দরে থাকা নৌবাহিনীর জাহাজ বিজয়ও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক সঙ্কটে থাকা লেবাননকে এই বিস্ফোরণ ফেলে দিয়েছে নতুন দুর্যোাগের মধ্যে।
বৈরুত বন্দরের ওই বিস্ফোরণে শহরের বহু ঘরবাড়ির মত দেশের প্রধান খাদ্যগুদামও ধসে পড়েছে। ওই গুদামে ১ লাখ ২০ হাজার টন গম মজুদ করা যেত।
লেবানন সরকার জানিয়েছে, সাইলো ধসে পড়ায় এখন তাদের হাতে এক মাসেরও কম সময়ের খাদ্য মজুদ আছে। বিস্ফোরণে ক্ষতির পরিমাণ ১৫ বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়ে যাবে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে।