বুধবার মালয়েশিয়ার ইমিগ্রেশন বিভাগের মহাপরিচালক খায়রুল দিজাইমি দাউদের বরাতে এ তথ্য জানিয়েছে সেদেশের গণমাধ্যম।
এক সংবাদ সম্মেলনে তার বক্তব্যের বরাতে এদিন মালয়েশিয়া গেজেট ও দ্য স্টার জানিয়েছে, মালয়েশিয়া থেকে বাংলাদেশের পরবর্তী ফ্লাইট যাবে ৩১ অগাস্ট। সেই ফ্লাইটে তাকে পাঠানো হতে পারে।
গত ৩ জুলাই আল জাজিরা টেলিভিশনে সম্প্রচারিত ওই প্রামাণ্য প্রতিবেদনে মহামারীর মধ্যে অবৈধ অভিবাসী শ্রমিকদের চিকিৎসা সেবা দেওয়ার বিষয়ে সরকারের কর্মকাণ্ডের সমালোচনা করে বক্তব্য দেন রায়হান কবির।
আল জাজিরাকে তিনি বলেন, মহামারীর মধ্যে অবৈধ শ্রমিকদের আটক ও জেলে পাঠানোর মাধ্যমে মালয়েশিয়া সরকার বৈষম্যমূলক আচরণ করছে। এটা কোনো মানবিক আচরণ হতে পারে না।
তবে দেশটির সরকারের কর্মকর্তারা আল জাজিরার ওই খবর ‘ভুল, বিভ্রান্তিকর এবং অন্যায্য’ বলে দাবি করেন। ওই প্রতিবেদন সম্প্রচারের পর দেশটিতে ক্ষোভের সঞ্চার হলে রায়হানের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়।
এ ঘটনায় পুলিশ আল জাজিরার সাংবাদিকদের জিজ্ঞাসাবাদে তলব করার পর মানবাধিকার সংগঠনগুলো অভিযোগ তুলেছে, দেশটির সরকার গণমাধ্যমের প্রতি দমনমূলক আচরণ করছে।
রায়হানকে নিঃশর্ত মুক্তি দিতে মানবাধিকার সংগঠনগুলোর দাবির মধ্যে বুধবার তাকে ফেরত আনতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হস্তক্ষেপ চেয়েছে ২৫ বছর বয়সী এই অভিবাসীর পরিবার।
সংবাদ সম্মেলনে মালয়েশিয়ার ইমিগ্রেশন বিভাগের মহাপরিচালক দাউদ বলেন, রায়হান কবিরের বিষয়ে তদন্ত শেষ করে করেছে পুলিশ এবং তদন্ত প্রতিবেদন পরবর্তী পদক্ষেপের জন্য অ্যাটর্নি জেনারেল দপ্তরে পাঠানো হয়েছে।
“তার ভ্রমণের পাস বাতিল করা হয়েছে। তদন্ত চূড়ান্ত হলে আমরা তাকে বাংলাদেশে পাঠাব।”
ফেরত পাঠানোর পাশাপাশি রায়হানকে মালয়েশিয়ায় ‘কালো তালিকাভুক্ত’ করা হবে বলেও জানিয়েছেন দেশটির ইমিগ্রেশন বিভাগের প্রধান।
এর ফলে রায়হান পরে আর কখনও মালয়েশিয়ায় ঢুকতে পারবেন না বলে জানান দাউদ।