কেবল টিভির ‘অবৈধ’ তার সরাতে ঢাকা দক্ষিণ সিটির অভিযান

ঢাকার দক্ষিণ সিটি করপোরেশন এলাকায় বিদ্যুতের খুঁটির সঙ্গে ঝুলে থাকা কেবল টিভির ‘অবৈধ’ তার অপসারণে ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান শুরু হয়েছে।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 5 August 2020, 03:48 PM
Updated : 5 August 2020, 03:48 PM

বুধবার এ অভিযানের প্রথম দিন মিরপুর রোডের সিটি কলেজ থেকে ল্যাবএইড হাসপাতাল এবং জিগাতলা বাসস্ট্যান্ডের আশপাশের এলাকায়, দক্ষিণের নগর ভবনের চারপাশে উচ্ছেদ কার্যক্রম পরিচালনা করেন সিটি করপোরেশনের সম্পত্তি কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. মুনিরুজ্জামান।

সিটি করপোরেশনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ইরফান উদ্দিন আহমেদের নেতৃত্বে আরেকটি দল বঙ্গবাজার ট্রাফিক সিগন্যাল থেকে নগর ভবন হয়ে গুলিস্তান ও ফুলবাড়িয়া মার্কেট এলাকায় উচ্ছেদ কার্যক্রম পরিচালনা করে।

নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মুনিরুজ্জামান বলেন, “কেবল টেলিভিশন পরিচালনা আইন ২০০৬ মোতাবেক ডিএসসিসি এলাকায় অবৈধ কেবল সংযোগের বিরুদ্ধে আমাদের কার্যক্রম চলমান থাকবে।”

বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১০টায় ফুলবাড়িয়া মার্কেট থেকে পাশের বঙ্গবাজার ও আনন্দবাজার এলাকায় অভিযান চালানো হবে বলে জানান নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ইরফান।

তারের জঞ্জাল থেকে রাজধানীকে মুক্ত করতে ২০০৯ সালে অন্য সব তার সরিয়ে মাটির নিচে নামানোর সিদ্ধান্ত হয়। এরপর ঝুলন্ত তার অপসারণে ২০১০ সালে একবার উদ্যোগও নেয় বিদ্যুৎ বিভাগ। সে সময় সব পক্ষকে নিয়ে সচিবালয়ে বৈঠক হলেও কোনো ফল আসেনি।

কেবল টিভি, ইন্টারনেট সার্ভিস, টেলিফোন লাইন আর বিদ্যুতের লাইন মিলিয়ে ঢাকার প্রায় সব রাস্তার পাশেই মাথার ওপর এখন তারের জঞ্জাল। ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় থাকা এসব তার ছিঁড়ে সমস্যা তৈরি হয় বিভিন্ন সময়ে। এসব তার কখনও কখনও অগ্নিকাণ্ডেরও কারণ ঘটায়।

উচ্চমাত্রার বিদ্যুৎ পরিবাহী তারের সঙ্গে ইন্টারনেট, টেলিফোন ও কেবল টিভি নেটওয়ার্কসহ বিভিন্ন ধরনের সেবা সংস্থার এই সব তার অপসারণে আদালতের নির্দেশ থাকলেও তা মানানো যায়নি কাউকে।

নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মুনিরুজ্জামান বলেন, কেবল টেলিভিশন নেটওয়ার্ক পরিচালনা আইনের ২৫ ধারায় বলা আছে, সরকারি, আধা-সরকারি বা স্বায়ত্তশাসিত সংস্থার স্থানীয় কার্যালয়ের লিখিত অনুমোদন ছাড়া কোনো স্থাপনা কেবল সংযোগের কাজে ব্যবহার করা যাবে না। কিন্তু সে নিয়ম কেবল অপারেটররা মানে না।

আইনের ২৮ (২) উপ-ধারা অনুযায়ী, এ নিয়ম লঙ্ঘনের জন্য সর্বোচ্চ ২ বছরের কারাদণ্ড এবং সর্বোচ্চ এক লাখ টাকা জরিমানার বিধান আছে। অপরাধের পুনরাবৃত্তি হলে সর্বোচ্চ তিন বছরের কারাদণ্ড এবং দুই লাখ টাকা জরিমানা করা যাবে।