আবহাওয়া অফিস বলছে, সোমবার ঢাকা, খুলনাসহ অনেক জায়গায় মৃদু তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। এরইমধ্যে সাগরে লঘুচাপ থাকায় বাতাসে আর্দ্রতা বেড়ে ভ্যাপসা গরমের এ অনুভূতি হচ্ছে।
এদিন দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল যশোরে, ৩৮ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আর ঢাকায় ছিল ৩৬ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
এ বিষয়ে জ্যেষ্ঠ আবহাওয়াবিদ বজলুর রশীদ বলেন, “সাগরে একটি লঘুচাপ রয়েছে। বৃষ্টিও তুলনামূলক কম রয়েছে। এমন আবহাওয়ায় গরমও বেশি অনুভূত হচ্ছে।”
তবে মঙ্গলবার দেশের দক্ষিণাঞ্চলে বৃষ্টি হতে পারে বলে পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
আগামী কয়েক দিন বৃষ্টির প্রবণতা থাকবে বলে জানিয়েছেন বজলুর রশীদ।
এ আবহাওয়াবিদ বলেন, সাগরে লঘুচাপের প্রভাবে দেশের অধিকাংশ জায়গায় বৃষ্টি হবে। সুস্পষ্ট লঘুচাপও হতে পারে এটি। সেজন্য কয়েক দিন বৃষ্টিও বাড়বে। তবে উজানে বৃষ্টির প্রবণতা কমে এসেছে।
সোমবার সন্দ্বীপ, সীতাকুণ্ড, রাঙ্গামাটি, ফেনী, চাঁদপুর, মাইজদীকোর্ট অঞ্চলসহ রাজশাহী, রংপুর, ঢাকা, খুলনা, বরিশাল, সিলেট ও ময়মনসিংহ বিভাগের উপর দিয়ে মৃদু তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। তা অব্যাহত থাকবে।
মঙ্গলবারের পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, রংপুর, ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের অধিকাংশ জায়গায়, রাজশাহী, ঢাকা ও সিলেট বিভাগের অনেক জায়গায় এবং খুলনা ও বরিশাল বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ বৃষ্টি/বজ্রসহ বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে।
বন্যা কবলিত এলাকায় রোগী বাড়ছে
এদিকে দেশের বন্যা কবলিত এলাকা থেকে পানি নামতে শুরু করেছে। গরমের মধ্যে উপদ্রুত এলাকায় রোগ-বালাইও বাড়ছে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ন্যাশনাল হেল্থ ক্রাইসিস ম্যানেজমেন্ট সেন্টারের নিয়ন্ত্রণ কক্ষের সহকারী পরিচালক ডা. আয়শা আক্তার জানান, ৩০ জুন থেকে ৩ অগাস্ট পর্যন্ত উপদ্রুত এলাকায় ডায়রিয়া, চর্মরোগ, চোখের প্রদাহ ও শ্বাসনালীর প্রদাহসহ বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হয়েছেন ২১ হাজার ৬৩২ জন।
নিয়ন্ত্রণ কক্ষে কর্তব্যরত চিকিৎসক বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, দুর্গত এলাকায় বিভিন্ন রোগে আক্রান্তদের মধ্যে অর্ধেকের বেশি ডায়রিয়া রোগী। পানি কমতে থাকার পাশাপাশি গরমে রোগীর সংখ্যা আরও বাড়বে আগামীতে। এরইমধ্যে ৭ হাজার ৯৭৫ জন ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়েছেন।
এই সময়ে পানিতে ডুবে, ডায়রিয়ায়, সাপের কামড়ে ও বজ্রপাতে ১৩৫ জনের মৃত্যুর তথ্য নিয়ন্ত্রণ কক্ষে নথিভুক্ত হয়েছে। এরমধ্যে পানিতে ডুবে মারা গেছে ১০৮ জন।