ঢাবিতে কোরবানি দিয়ে ছিন্নমূলদের নিয়ে ভোজন

প্রায় এক দশক আগে ছেড়ে যাওয়া ক্যাম্পাসে কোরবানি দিয়ে ছিন্নমূল মানুষদের সঙ্গে ঈদ উদযাপন করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক তিন শিক্ষার্থী।

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 1 August 2020, 07:43 PM
Updated : 1 August 2020, 07:43 PM

ক্যাম্পাসে গরু কোরবানি দিয়ে ক্যাম্পাসেই রান্না করে সেখানেই খাওয়া হয়েছে। কোরবানির মাংসের সঙ্গে সাদা ভাত, মুগ ডালে পাঁচ শতাধিক ছিন্নমূল মানুষ খেয়েছেন।

এই আয়োজন করা মনসুর আহমদ, মো. আরিফুজ্জামান ও সরদার মামুনুর রশীদ তিনজনই এখন ব্যাংকে চাকরি করেন। তাদের এই উদ্যোগে অংশ নিয়েছেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষার্থী মো. দেলোয়ার হোসেন।

সকালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের হাজী মুহম্মদ মুহসীন হলে কোরবানি দেওয়া হয়। এরপর মাংস নিয়ে যাওয়া হয় মাস্টার দা সূর্যসেন হলে। সেখানে ক্যান্টিন কর্মচারীদের সাহায্যে রান্না করা হয়।

রান্নার পর হাকিম চত্বরে খাওয়ার আয়োজন করা হয়। করোনাভাইরাসের কারণে নির্দিষ্ট দূরত্ব মেনে বসানো হয় খাবারের সারিতে। খাবার খেতে আসেনে পাঁচ শতাধিক মানুষ। দূরত্বের কারণে লাইন ছড়িয়ে পড়ে দূরে।

ছিন্নমূল এই মানুষদের সঙ্গে বসে খাবার খান আয়োজকরাও। এই আয়োজনে সার্বিক সহযোগিতায় ছিলেন ওই এলাকার ওয়ার্ড কাউন্সিলর মো. আসাদুজ্জামান।

এক প্রশ্নের জবাবে এই আয়োজনের অন্যতম উদ্যোক্তা মনসুর বলেন, “কোরবানিতে আমরা চারজন অংশ নিলেও পুরো আয়োজনটি আসলে আমাদের চারজনের নয়। এই আয়োজনের পেছনে রয়েছে আমাদের বন্ধু-বান্ধব, বড় ভাই-ছোট ভাইদের একটি দল।

“দেশে যেদিন প্রথম করোনাভাইরাস ধরা পড়ল, সেই দিন আমরা পাঁচ বন্ধু একত্রিত হয়ে এই পরিস্থিতিতে কিছু একটা করার সিদ্ধান্ত নেই। ধীরে ধীরে  আমাদের সঙ্গে আরো অনেকে যোগ দেয়।”

মহামারীর মধ্যে এই উদ্যোগের অংশ হিসেবে আরও কিছু কাজ হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, সংকটে হাত পাততে না পারা নিম্নমধ্যবিত্ত ও মধ্যবিত্ত ৬০টি পরিবারকে নিয়মিত বাজার করে দেয়া, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও আশপাশের এলাকার কুকুর ও অন্যান্য পশুপাখির জন্য নিয়মিত খাদ্যের যোগান দেওয়া; ফ্রি অক্সিজেন সিলিন্ডার/কনসেনট্রেটর সরবরাহ করা এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও আশপাশের মানুষের সচেতনতা বৃদ্ধিতে দেয়াল লিখন রয়েছে এসব কাজের মধ্যে।

তিনি বলেন, গত রমজানে অসহায় ও দরিদ্রদের মাঝে খাবার ও ইফতারি বিতরণও করেছিলেন তারা।