ক্যাম্পাসে গরু কোরবানি দিয়ে ক্যাম্পাসেই রান্না করে সেখানেই খাওয়া হয়েছে। কোরবানির মাংসের সঙ্গে সাদা ভাত, মুগ ডালে পাঁচ শতাধিক ছিন্নমূল মানুষ খেয়েছেন।
এই আয়োজন করা মনসুর আহমদ, মো. আরিফুজ্জামান ও সরদার মামুনুর রশীদ তিনজনই এখন ব্যাংকে চাকরি করেন। তাদের এই উদ্যোগে অংশ নিয়েছেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষার্থী মো. দেলোয়ার হোসেন।
সকালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের হাজী মুহম্মদ মুহসীন হলে কোরবানি দেওয়া হয়। এরপর মাংস নিয়ে যাওয়া হয় মাস্টার দা সূর্যসেন হলে। সেখানে ক্যান্টিন কর্মচারীদের সাহায্যে রান্না করা হয়।
ছিন্নমূল এই মানুষদের সঙ্গে বসে খাবার খান আয়োজকরাও। এই আয়োজনে সার্বিক সহযোগিতায় ছিলেন ওই এলাকার ওয়ার্ড কাউন্সিলর মো. আসাদুজ্জামান।
এক প্রশ্নের জবাবে এই আয়োজনের অন্যতম উদ্যোক্তা মনসুর বলেন, “কোরবানিতে আমরা চারজন অংশ নিলেও পুরো আয়োজনটি আসলে আমাদের চারজনের নয়। এই আয়োজনের পেছনে রয়েছে আমাদের বন্ধু-বান্ধব, বড় ভাই-ছোট ভাইদের একটি দল।
“দেশে যেদিন প্রথম করোনাভাইরাস ধরা পড়ল, সেই দিন আমরা পাঁচ বন্ধু একত্রিত হয়ে এই পরিস্থিতিতে কিছু একটা করার সিদ্ধান্ত নেই। ধীরে ধীরে আমাদের সঙ্গে আরো অনেকে যোগ দেয়।”
তিনি বলেন, গত রমজানে অসহায় ও দরিদ্রদের মাঝে খাবার ও ইফতারি বিতরণও করেছিলেন তারা।